শিরোনাম
’রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ার বিষয় রাষ্ট্র চিন্তা করবেন’ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মির যৌথ মহড়া শুরু হয়েছে কুড়িগ্রামে নারীসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার, জব্দ করা হয়েছে ২ হাজার ৩৬৮ পিস ইয়াবা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে রাতের আধাঁরে নৌকা বানিয়ে ঝুলিয়ে দিলেন রাস্তায়, সকালেই গ্রেফতার ১জন এনসিপিতে যারা যোগ দিতে চায় তাদেরকে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে: হাসনাত কাউনিয়ায় পদ্ম ফুলের সুগন্ধে মাতোয়ারা দর্শনার্থীরা দুধ দিয়ে গোসল করে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ত্যাগ করলেন এক নেতা মাহেরীন চৌধুরী নারী সমাজের জন্য গর্বিত এক নাম হয়ে থাকবেন – আফরোজা আব্বাস ছিনতাইয়ের শিকার সাংবাদিকের সঙ্গে অসদাচরণ: চার পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার, মোবাইল উদ্ধার দুপুরে বার্ন ইনস্টিটিউটে আরও এক শিশুর মৃত্যু
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৪ অপরাহ্ন

শরীরের ৯০% পুড়ে যাওয়া নাজিয়া বারবার খুঁজছিল ভাই নাফিকে

ডেস্ক রিপোর্ট / ৩০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ভাইবোন নাজিয়া ও নাফির। ১২ বছরের নাজিয়া এবং ৮ বছরের নাফি—দুজনই একই স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন। সোমবার দুপুরে ছুটি শেষে বড় বোন নাজিয়াকে আনতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে ছোট ভাই নাফি।

পরিবার জানায়, শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া নাজিয়াকে যখন জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাওয়া যায়, তখন সে বারবার জিজ্ঞেস করছিল, “আমার ভাই কেমন আছে?” হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায়ও ভাইয়ের খোঁজে চোখ মেলে রেখেছিল সে। সোমবার ভোররাতে মারা যায় নাজিয়া।

তবে ট্র্যাজেডি এখানেই শেষ নয়। ৯৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়া ছোট ভাই নাফি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে। বুধবার দুপুরে তার মরদেহ বাসায় এলে সংক্রমণের আশঙ্কায় অন্তঃসত্ত্বা মা তাহমিনাকে ছেলেকে শেষবার চুমু দিতেও বাধা দেওয়া হয়।

মা তাহমিনা তখন প্রায় নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। দুর্ঘটনার সময় তিনি ছিলেন স্কুলের বাইরে, কিন্তু সন্তানদের খুঁজে পেতে বহু সময় লেগে যায়। বার্ন ইউনিটে তাদের খুঁজে পাওয়ার আগে আতঙ্ক আর অশ্রুতে ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।

নাজিয়ার খালা তানজিনা আখতার জানান, প্রথমে নাজিয়াকে দেখেও চিনতে পারেননি তারা। পরবর্তীতে নাজিয়া হাত তুলে খালাকে ডাকে এবং তখনই পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারেন যে সে-ই নাজিয়া।

হাসপাতালে উপস্থিত এক খালাতো ভাই বলেন, নাজিয়ার যন্ত্রণা ছিল ভয়াবহ। ডাক্তাররাও বলছিলেন—“দোয়া করুন, যেন ও তাড়াতাড়ি চলে যেতে পারে, এত কষ্ট আর সহ্য হচ্ছে না।”

মঙ্গলবার জানাজা শেষে নাজিয়াকে দাফন করা হয় রাজাবাড়ি দক্ষিণপাড়া কবরস্থানে। ঠিক তার পাশেই বুধবার সন্ধ্যায় সমাহিত করা হয় ছোট ভাই নাফিকে।

বাবা আশরাফুল ইসলামের জন্য এটি ছিল সবচেয়ে দুঃসহ অধ্যায়। একদিনের ব্যবধানে দুই সন্তান হারিয়ে ভেঙে পড়েন তিনি। দু’বার সন্তানের মরদেহ কাঁধে নিয়ে যেতে হয় তাকে—যা ছিল সহ্যের বাইরে।

ভাইবোনের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পুরো রাজাবাড়ি এলাকা। স্কুল ও পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ