শিরোনাম
দূঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিএনপির জন্ম হয়েছে: আনিসুর রহমান লাকু   একই দিনে হচ্ছে না স্থগিত এইচএসসির দুই পরীক্ষা; রুটিন প্রকাশিত প্রিজনভ্যানের ভেতরে কাঁদছেন পলক, একজন বললেন, ‘কাইন্দেন না’ সৈয়দপুরে বাইপাসে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত-১৯ নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মীদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমোদন, ভোটকক্ষে সরাসরি সম্প্রচার নয় ড. ইউনূসের ‘ভাই-ব্রাদার’ কোটায় আসছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা: হাসনাত আবদুল্লাহ নিজে থেকে পদত্যাগের কোন অভিপ্রায় নেই, নিয়োগকর্তা বললে চলে যাবো: শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষিকা মাহেরীনের জীবন উৎসর্গেই বুঝা যায়, শেখ পরিবার আর জিয়া পরিবারের পার্থক্য : পিনাকী দুই বছর ধরে কেউ পাস করেনি, অবশেষে স্কুলের নামই বদলে ফেলল কর্তৃপক্ষ — সরকারি গেজেট অনুযায়ী ‘বাবুরহাট বালিকা বিদ্যালয়’ নামে নতুন যাত্রা কালীগঞ্জ উপজেলার নাম পরিবর্তন নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড়
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৮:০১ অপরাহ্ন

খরস্রোতা মানাস নদী আজ বর্ষা মৌসুুমেও পানি শুন্য।

মো আব্দুল্লাহ আনন্দ, কাউনিয়া, রংপুর। / ৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫

কাউনিয়ার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত এক সময়ের খরস্রোতা মানাস নদী আজ বর্ষা মৌসুমেও প্রায় পানি শুন্য হয়ে মিলছে না দেশী প্রজাতির মাছ। এই নদীর সীমানা কতটুকু তা কেউ জানে না। গত বছর লোক দেখান সরকারী ভাবে নদী খনন করা হলেও সেই খনন কোন কাজে আসেনি। নদীতে পানি না থাকায় দেশী মাছ না পওয়ায় বেকার হয়ে পরেছে শতশত মৎস্যজীবী পরিবার।

সরেজমিনে মানাস নদী এলাকা ঘুরে জানা গেছে একটা সময় ছিল যখন এ নদীর বুক চিরে চলতো পাল তোলা ব্যবসায়ীদের বজরা ও ভ্রমণকারীদের সাম্পান নৌকা। আজ সেই নদীতে মাটি ভরাট হয়ে পানি নেই চলছে চাষাবাদ। ভরাট হওয়া মানাস নদীতে কৃষকরা ধান চাষ আর বিভিন্ন স্থানে বানা দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে নদীর অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। মানাস নদী নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ কুড়িপাড়া গ্রাম থেকে তিস্তা ও আলাইকুড়ি প্রশাখা হিসেবে মানাস নদীর উৎপত্তি হয়ে রংপুরের গঙ্গাচরার লক্ষীটারী গজঘন্টা, মর্নেয়া হয়ে কাউনিয়া উপজেলার সারাই, হারাগাছ, শহীদবাগ, বালাপাড়া, কুর্শা, টেপামধুপুর ইউনিয়ন হয়ে পীরগাছার অন্নদানগর, কান্দি হয়ে গাইবান্ধায় যমুনা নদীতে মিলিত হয়েছে। কাউনিয়ার উপর দিয়ে প্রায় ৩০ কিঃ মিটার দৈর্ঘ্য এলাকা জুড়ে এ নদীর অবস্থান। সাধু গ্রামের ওসমান জানান, নদীর বুক চিরে আগে বড় বড় পালতোলা নৌকা ও ব্যবসায়ীরা বড় বড় নৌকা নিয়ে আসতো। কালের আবর্তে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখন আর নদী পথে কোন নৌকা চলাতো দুরের কথা নদী হয়ে গেছে ফসলের মাঠ। কুর্শা নেংরার বাজার এলাকার মজিবর ডিলার জানান এক সময় এই নদীতে শতশত জেলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো। নদীতে পানি না থাকায় তারা আজ মাছ ধরতে নাপেরে পৈত্রিক পেশা ছেরে জীবন বাঁচার তাগিদে অন্য পেশায় নিয়োজিত হচ্ছে। মৎস্যজীবী মনু জানান, নদীর বিভিন্ন স্থানে বানা দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে খেতাজাল ও কারেন্ট এবং রিংজাল দিয়ে মা ও পোনা মাছ ধরায় মাছের বংশ বৃদ্ধি হচ্ছে না। লালমসজিদ এলাকার বাবু হাজি জানান, মানাস নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় কাউনিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়েগেছে সেই সাথে জীব বৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে। নানা প্রজাতির দেশী সুসাদু মাছ আজ বিলুপ্তের পথে। বিনোদমাঝি গ্রামের মোহসিন আলী জানান নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় অনেক আবেদন নিবেদনের পর খনন করা হলেও সেই খননকৃত মাটি আবার নদীতে পড়ে ভরাট হয়ে গেছে। মানাস নদীর বড় বড় মাছ এলাকার মানুষের নজর কারতো। এ নদীর মাছ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে অন্য এলাকায় রফতানি হতো। মুক্ত জলাশয় নদীতে মৌসুমের শুরুতে গত বছর যে পরিমান মাছ পাওয়া গেছে চলতি বর্ষা মৌসুমে তা অর্ধেকে নেমে গেছে। বাজারে চাহিদার তুলনায় আমদানী কম থাকায় মাছের দাম আকাশচুম্বি। অনেকে বলছেন বৃষ্টি হলেই মাছ বাজারে আসতে শুরু করবে কিন্তু চলতি মৌসুমে আশানুরুপ বৃষ্টি হলেও বাজারে দেশী মাছ নেই। মৎস্য কর্মকর্তা ফরজানা আক্তর জানান মানাস নদীর বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানান হয়েছে। পানির অভাবে দেশীও নানা প্রজাতীর মাছ পাওয়া যায় না। প্রাকৃতিক পরিবেশ, জীব বৈচিত্র ও নদীর অস্থিত্ব রক্ষায় ঐতিহ্যবাহী মানাস নদীটির প্রকৃত সীমানা নির্ধারন করে খনন করা হলে নদী তীরবর্তী হাজার হাজার মানুষ সেচ সুবিধা সহ নানা কাজে সুফল পেত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ