শিরোনাম
বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় সহায়তা দিতে ঢাকায় এসেছেন সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল কুড়িগ্রামের উলিপুরে নকল সিগারেট তৈরির কারখানার সন্ধান, আটক ৪ আহতদের জন্য শতাধিক ব্যাগ রক্ত দিলেন বিএনপি নেতারা একটা অসুস্থ জাতি, যেখানে লাশ মানেই রাজনীতি আর কনটেন্ট বোনের পর না ফেরার দেশে গেল ভাই নাফিও, মা-বাবার বুক খালি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুধ ও বৃহস্পতিবারের সকল পরীক্ষা স্থগিত থাকবে আহত বাচ্চাগুলোকে প্রয়োজনে এয়ার এ্যাম্বুল্যান্সযোগে দিল্লি আনা হোক উদ্বোধনের চার বছরেও চালু হয়নি খানসামার ২০ শয্যার হাসপাতাল, নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার যন্ত্রপাতি, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত স্থানীয়রা মাইলস্টোন ট্রাজেডিতে নিহত শিক্ষিকা মেহেরীন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভাতিজি মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের সহায়তায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে ভারত
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন

যাদের বাঁচিয়েছি তারাও আমার সন্তান বলেছিলেন মাহেরিন চৌধুরী

আসিফ ইশতিয়া লিওন নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি / ২৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫

মাহেরীন চৌধুরী অনেক ভালো মানুষ ছিলেন, সে গতকাল বাচ্চাদের বের করতে যায় সেসময় সে কিছু বাচ্চা বের করে নিয়ে আসছিলেন পরে সে আবার কিছু বাচ্চা বের করতে গিয়ে আটকে পরে। বাচ্চাদের বাঁচাতে গিয়ে পুরো শরীর আগুনে পুড়ে যায় মাহেরীনের। আমার সঙ্গে গতকাল রাতে আইসিইউতে তার শেষ কথা হয়েছে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম তুমি কেন এই কাজ করতে গেলা? সে আমাকে বলে “আমার বাচ্চারা আমার সামনে পুড়ে মরছে সেটা আমি কিভাবে দেখি। আমি সেখানে যাদেরকে বাঁচিয়েছি তারাও আমার সন্তান,” কান্নাজড়িত কন্ঠে এসব কথা বলছিলেন ঢাকায় বিমান দূর্ঘটনায় অগ্নিদদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া মাহেরীন চৌধুরীর স্বামী মনসুর হেলাল।

মঙ্গলবার( ২২ জুলাই) নীলফামারীর জলঢাকার বগুলাগাড়ী রাজারহাট চৌধুরী পাড়া এলাকার নিজ গ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহেরীন চৌধুরী জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ী রাজারহাট চৌধুরি পাড়া এলাকার মৃত মহিতুর রহমান চৌধুরীর মেয়ে ও দুই সন্তানের জননী। মাহেরীন চৌধুরী সাবেক রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের ভাতিজি।তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকার উত্তরার একটি বাসায় বসবাস করতেন।

তিনি আরও বলেন, আমি তাকে বাঁচাতে সর্বচ্ছ চেষ্টা করেছি। আমার সবকিছু দিয়ে তাকে আমি বাঁচাতে চেয়েছি কিছু তাকে বাঁচাতে পারিনি। সে আমাকে বলেন আমি কিছু বাচ্চাকে বের করতে গিয়েছিলাম বাকিদের বের করতে গিয়ে পুরো শরীরে আগুন লেগে যায়। সে সেখানে পুড়ো শরীর পুড়ে গিয়েছিলো। সে বেচে ছিলো একটু কথা বলতে পারছে। আইসিইউতে যখন তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো আমাকে সেখানেই তার সঙ্গে দেখা করি। সে লাইভ সার্পোটে যাওয়ার আগে তার ডান হাতটা দিয়ে আমাকে বলেছিলো আমার হাতটা একবার ধরবে। আমি শক্ত করে ধরেছি কিন্তু ধরতে পারিনি পুরো শরীর পোড়া। সে আমার হাতটা তার বুকে নিয়ে বললো তোমার সঙ্গে আমার আর দেখা হবেনা। এরপর তাকে নিয়ে যায় সে আমাদের সবাইকে ফাঁকি দিয়ে চলে যায়। আমার দুইটা বাচ্চা আছে ছোট ছোট! তারা এতিম হয়ে গেলো।

আরও বলেন, আমি তাকে আরও জিজ্ঞেস করলাম তুমি তোমার বাচ্চাদের কথা একবার ভাবলে না। সে বলেছিলো ওই বাচ্চাগুলোও আমার বাচ্চা ছিলো। আমি তাদের একা রেখে কিভাবে চলে আসি। আমি তাকে সর্বচ্ছ দিয়ে বাঁচাতে পারিনি এর থেকে দুঃখের কিছু হয়না, তাকে ছাড়া আমি কিভাবে বাচবো।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অগ্নি দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন। ওই ভয়াবহ মুহূর্তে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থীকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে নিজে প্রাণ হারিয়েছেন শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ