শিরোনাম
গোপালগঞ্জে কারফিউর সময় আরও বাড়ল ভারতে বাংলায় কথা বললেই ‘বাংলাদেশি ট্যাগ’ দিয়ে গ্রেপ্তার, তৃণমূলের বিক্ষোভ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করলে গোপালগঞ্জে লং মার্চ : নাহিদ গোপালগঞ্জে নিহত চারজনের ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন ও সৎকার সম্পন্ন শহীদ আবু সাঈদের মাকে নিয়ে কটূক্তি, পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার ‘দলবদ্ধ ধর্ষণের’ শিকার তরুণীর আত্মহত্যার চেষ্টা, স্বেচ্ছাসেবক ও শ্রমিক দল নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪ রাণীশংকৈল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের দালালের ভিড়  মাদ্রাসার মাঠে ধানের বীজ বপন, অভিযুক্ত জামায়াত নেতা আল্লাহর আইন মানার জন্য ছাত্রদল নেতার ‘পদত্যাগ’ ৫০ হাজার টাকা দাও বিষয়টা আমি দেখছি’, জামায়াত নেতার অডিও ফাঁস
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন

ফেসবুকে ট্রল করে বিপাকে এএসপি মোসফেকুর, দিনাজপুরে বিক্ষোভ অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

ভুবন সেন,দিনাজপুর / ৫২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫

গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের সেনাবাহিনীর সাজোয়া যানে উঠার বিষয়ে ফেসবুকে ট্রল করায় দিনাজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ট্রাফিক) মোসফেকুর রহমানকে অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। আজ(বুধবার) রাত আটটা থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দেড় শতাধিক নেতৃবৃন্দ জেলা পুলিশ সুপার কার‌্যালয়ের প্রধান ফটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। এই প্রতিবেদন লিখা পর‌্যন্ত বিক্ষোভ চলছিলো।

ওই পুলিশ কর্মকর্তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় তিনি তাঁর ব্যক্তিগত ফেইসবুক ওয়ালে লিখেন, ‘ট্যাংকের এসি খুব আরামদায়ক শুনেছি’। এরপর থেকে তাঁর ওই স্ট্যাটাস নিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতৃবৃন্দ জড়ো হয়ে পুলিশ সুপার কার‌্যালয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

দিনাজপুর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক ফয়সাল মোস্তাক বলেন, ‘ আজ গোপালগঞ্জে আমাদের জুলাই যোদ্ধাদের কর্মসূচি ছিলো। সেখানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর‌্যায়ের নেতাকর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এনসিপি নেতৃবৃন্দ ও জুলাই যোদ্ধাদের সংঘর্ষ হয় এবং জুলাই যোদ্ধাদেরকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টাও করা হয়। এসময় জুলাই যোদ্ধাদেরকে সেনাবাহিনী সদস্যরা তাদের সাজোয়া যানে তুলে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। বিষয়টিকে নিয়ে দিনাজপুর এএসপি মোসফেকুর রহমান ব্যঙ্গ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন এবং বিভিন্নজনের কমেন্টের উত্তর দেন। বিষয়টির প্রতিবাদে আমরা ওই পুলিশ কর্মকর্তার অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছি।

ফয়সাল মোস্তাক আরও বলেন, ‘আমরা ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জেনেছি তিনি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ছিলেন। জুলাই আন্দোলনে তাঁর নির্দেশেই শিক্ষার্থীদের উপরে পুলিশ গুলি চালিয়েছিলো এবং এখনো তিনি আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর‌্যায়ের নেতৃবৃ্ন্দের সাথে যোগাযোগ করে চলেছেন। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন এরইমধ্যে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে অপসারন করা হয়েছে কিন্তু আমরা তাঁর গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে দিনাজপুর পুলিশ সুপার মারুফাত হোসাইন বলেন, ‘আমাদের এক সহকর্মীর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। এরইমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সংশ্লিষ্ট সহকর্মীকে দায়িত্ব থেকে এবং দিনাজপুর জেলা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ