শিরোনাম
আজ ১৬ জুলাই, যেদিন বুক চিতিয়ে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন আবু সাঈদ জামায়াতের সমাবেশে অংশ নেবে ১০ লাখের বেশি নেতাকর্মী, ১০ হাজার বাস রিজার্ভ ছাত্রদলের দুই নেতাকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মীদের অপরাধের দায় বিএনপিকেই নিতে হবে: চরমোনাই পীর শ্যামাসুন্দরী খাল নিয়ে যে পরিকল্পনার কথা জানালেন উপদেষ্টা দরপতন ঠেকাতে আরও ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক তিস্তার পানিতে ভাসতে পারে উত্তরের চার জেলা ২০২৫-২০২৬ইং অর্থবছরের জন্য সৈয়দপুর পৌরসভার ১২২ কোটি ২৯ লাখ ৭৪ হাজার ৮৪০ টাকা বাজেট ঘোষণা। ভুটানকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব–২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ সেরা বাংলাদেশ। নাহিদ-সারজিসদের মার্চ টু গোপালগঞ্জ ঘিরে নেতাকর্মীদের সতর্ক করল আওয়ামী লীগ
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন

সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে

ডেস্ক রিপোর্ট / ৩৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে রাওয়া ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, ‘নিজেরা কাদা ছোড়াছুড়ি, মারামারি ও কাটাকাটি করলে দেশ ও জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। এই দেশ আমাদের।

আমরা সবাই সুখে-শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা চাই না হানাহানি, কাটাকাটি, মারামারি।

আমাদের মধ্যে মতের বিরোধ থাকতে পারে, চিন্তা-চেতনার বিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু দিন শেষে আমরা সবাই দেশ ও জাতির দিকে খেয়াল করে সবাই যেন এক থাকতে পারি। কেবল এক থাকলেই এ দেশ উন্নত হবে, সঠিক পথে পরিচালিত হবে।না হলে আমরা আরো সমস্যার মধ্যে পড়ে যাব। ওই দিকে আমরা যেতে চাই না।

আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি। পরে বলবেন সতর্ক করিনি। এই দেশ আমাদের সবার। আমরা সবাই সুখে-শান্তিতে থাকতে চাই। সেই উদ্দেশ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

না হলে আমরা আরো সমস্যার মধ্যে পড়ে যাব। ওই দিকে আমরা যেতে চাই না।

আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি। পরে বলবেন সতর্ক করিনি। এই দেশ আমাদের সবার। আমরা সবাই সুখে-শান্তিতে থাকতে চাই। সেই উদ্দেশ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এর প্রায় পাঁচ মাস পর সেনাপ্রধানের সেই সতর্কবার্তা এখন সচেতন সব মহলে গুরুত্ব পাচ্ছে। অনেকেরই উপলব্ধি, সেনাপ্রধান সেদিন ভুল কিছু বলেননি। সম্প্রতি পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে অশ্লীল স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে অভিযোগ করেন, এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার পরিচালনার দায়িত্বে না থাকা সত্ত্বেও একটি রাজনৈতিক দল ও তার প্রধান নেতৃত্বকে দায়ী করে বিক্ষোভ মিছিল এবং অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করা হচ্ছে। এটি রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে আবারও সেই ফ্যাসিবাদের যুগে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কি না এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কাদা ছোড়াছুড়ি না করতে সেনাপ্রধানের সতর্কবার্তাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে অনেকেই এটা উপলব্ধি করছেন। মেজর জেনারেল (অব.) কাজী ইফতেখার-উল-আলমের মতে, সেনাপ্রধান দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ দেখতে চান, বিশৃঙ্খলা চান না। তিনি বলেন, ‘আমিও ব্যক্তিগতভাবে দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে মনে করি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি কারো জন্যই স্বস্তিদায়ক না। আমরা একটা খারাপ সময় পার করছি। এই সময় সবাইকে একতাবদ্ধ থাকা দরকার।

একতাবদ্ধ না থাকলে সামনের দিনগুলোতে আমাদের জন্য ভালো কিছু আসবে না বলেই আমি মনে করি। দেশের জন্য, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই। ’

তিনি বলেন, ‘আমিও ব্যক্তিগতভাবে দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে মনে করি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি কারো জন্যই স্বস্তিদায়ক না। আমরা একটা খারাপ সময় পার করছি। এই সময় সবাইকে একতাবদ্ধ থাকা দরকার। একতাবদ্ধ না থাকলে সামনের দিনগুলোতে আমাদের জন্য ভালো কিছু আসবে না বলেই আমি মনে করি। দেশের জন্য, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই। ’

বিশেষজ্ঞরা আরো বলছেন, রাজনীতিতে এ ধরনের কাদা ছোড়াছুড়ি, রাজনীতিবিদদের চরিত্রহনন, তাঁদের বিরুদ্ধে অশ্লীল স্লোগান দেওয়া গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। এ রকমের কাদা ছোড়াছুড়ি পতিত স্বৈরাচারের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। বিষয়টি নিয়ে চব্বিশের গণ-আন্দোলনের পক্ষের রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোকে ভাবতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকেও সার্বিক পরিস্থিতি নজরে রেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসও একসময় জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দেন। গত বছরের ৪ ডিসেম্বর তিনি এ বিষয়ে দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন। দলগুলোও দেশের অস্তিত্ব রক্ষা এবং অপপ্রচার ও আগ্রাসন ঠেকাতে সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেয়।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম গত রবিবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘এখনো ঐক্যই দরকার। হঠকারীদের স্পেস দিলে বরং দেশের ক্ষতি হবে। বিরোধিতা আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা কোনোভাবেই বিদ্বেষ এবং শত্রুতায় নিয়ে ঠেকানো যাবে না। বড় শয়তান এখনো আমাদের কাঁধে শ্বাস ফেলছে। ’ তিনি আরো লেখেন, ‘তবে সবারই রেকনিং দরকার আছে।

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানও গত রবিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা অবশ্যই আপনার নিজস্ব অধিকার। এ ক্ষেত্রে অন্যায়ের প্রতিবাদ হোক শালীন প্রতিবাদের ভাষায়। সমালোচনা হোক যুক্তি ও তথ্যনির্ভর। কোনো ব্যক্তি বা দলের চরিত্রহনন একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত ও নিন্দনীয়। ’

এ ধরনের আচরণ সমাজজীবনে কেবল বিশৃঙ্খলা, বিষোদগার ও অনৈক্যের বীজ বপন করবে বলেও মন্তব্য করেন শফিকুর রহমান। তিনি লেখেন, ‘সবার পক্ষেই সংযত, সাবধানী ও দায়িত্বশীল আচরণ অত্যন্ত প্রয়োজন। মহান আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে এই বাস্তবতাটি উপলব্ধি করার তাওফিক দেন। ’

বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন : বিষয়টি সম্পর্কে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, “রাজনীতিতে এ ধরনের কাদা ছোড়াছুড়ি, রাজনীতিবিদদের চরিত্রহনন, তাঁদের বিরুদ্ধে অশ্লীল স্লোগান দেওয়া গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। এর একটি ঐতিহাসিক কারণ আছে। আমাদের দেশে এই সংস্কৃতি পাকিস্তান আমল থেকে শুরু হয়। তখন প্রতিপক্ষকে অন্যায়ভাবে ‘দালাল’ আখ্যায়িত করা হতো। স্বাধীনতার পর থেকে এটা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এর ফলাফল আমরা ভোগ করছি।

আমাদের ইয়াং জেনারেশন বড় হয়েছে এই সংস্কৃতির মধ্যেই। পলিটিক্যাল এডুকেশনটি পলিটিশিয়ানদের কাছ থেকেই আসে। স্বাধীনতা এসেছে পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় আগে। স্বাধীনতার পর যাদের জন্ম তাদের একাংশের বয়সও ৫০ বছরের কাছাকাছি। এরা এই রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির মধ্যেই বড় হয়েছে। ইয়াং জেনারেশন, যাদের বয়স ২৪-২৫ বছর, তারা তো এর ভয়াবহ রূপ দেখেছে। একে অন্যকে গালাগাল করা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে স্বাধীনতাবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, রাষ্ট্রদ্রোহী- এ ধরনের আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার হতে দেখেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে নরেন্দ্র মোদি তো কত কিছুই করছেন।

তাঁর বিরুদ্ধে মুসলিমদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে সমালোচনা হয়। কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ সে দেশের অনেক রাজনীতিবিদ এ বিষয়ে নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করেছেন। কিন্তু তা অশালীন ভাষায় নয়। আমাদের দেশে রাজনীতিতে চলমান কাদা ছোড়াছুড়ি ও চরিত্রহননের ভয়াবহ এই সংস্কৃতির পরিবর্তন হওয়া দরকার। চব্বিশের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে আমরা রাষ্ট্রের, রাজনীতির সংস্কার চেয়েছি। কিন্তু রাজনীতির অগ্রহণযোগ্য এই সংস্কৃতি তো মানসিক বিষয়। মন পরিবর্তন তো কঠিন। এর থেকে বেরিয়ে আসার উপায় হলো আমাদের রাজনীতিবিদ যাঁরা রয়েছেন, রাজনৈতিক দলের নেতা যাঁরা রয়েছেন, তাঁদেরই ইতিবাচক উদ্যোগ নিতে হবে। তাঁদের বলতে হবে, প্রতিপক্ষ দলের সমালোচনা করতে গিয়ে এ ধরনের ভাষা ব্যবহার, অশালীন আচরণ করা যাবে না। তাহলে আস্তে আস্তে এর পরিবর্তন আসতে পারে। তথ্য উপদেষ্টা বলেছেন, ‘বিরোধিতা আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা কোনোভাবেই বিদ্বেষ এবং শত্রুতায় নিয়ে ঠেকানো যাবে না। এ বার্তা অনেকের কাছে যাবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সংযত হবে বলেই আশা করি। ”মন পরিবর্তন তো কঠিন। এর থেকে বেরিয়ে আসার উপায় হলো আমাদের রাজনীতিবিদ যাঁরা রয়েছেন, রাজনৈতিক দলের নেতা যাঁরা রয়েছেন, তাঁদেরই ইতিবাচক উদ্যোগ নিতে হবে। তাঁদের বলতে হবে, প্রতিপক্ষ দলের সমালোচনা করতে গিয়ে এ ধরনের ভাষা ব্যবহার, অশালীন আচরণ করা যাবে না। তাহলে আস্তে আস্তে এর পরিবর্তন আসতে পারে। তথ্য উপদেষ্টা বলেছেন, ‘বিরোধিতা আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা কোনোভাবেই বিদ্বেষ এবং শত্রুতায় নিয়ে ঠেকানো যাবে না। এ বার্তা অনেকের কাছে যাবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সংযত হবে বলেই আশা করি। ”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘সম্প্রতি একটি মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে, ওই ঘটনা কেন, কিভাবে, কারা ঘটিয়েছে তা পরিষ্কার হওয়ার আগেই একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে, দলটির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে যে আচরণ, যে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার আমরা দেখলাম তা দুঃখজনক। যারা এসব করেছে তাদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে বলেই অনেকে মনে করেন। আসন্ন নির্বাচনে প্রতিপক্ষকে যেকোনোভাবে ঘায়েল করার অপচেষ্টা থাকতে পারে বলেও অনেকে মনে করেন।

আমাদের দেশের রাজনীতিতে শিষ্টাচারের অবনতি বহু সময় ধরে ক্রমে অবনতির দিকে যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন অশ্লীলতার ছড়াছড়ি চরমে। বাধাহীনভাবে যার যা ইচ্ছা বলেই যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ রকমের কাদা ছোড়াছুড়ি পতিত স্বৈরাচারের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। বিষয়টি নিয়ে চব্বিশের গণ-আন্দোলনের পক্ষের রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোকে ভাবতে হবে। ’

অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ আরো বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হচ্ছে রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। ভালো এবং শক্তিশালী রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজন। কোনো একটি দলকে দুর্বল করা চেষ্টা পরোক্ষভাবে রাষ্ট্রেরই ক্ষতি হয়। একানব্বইয়ের পর থেকে বাংলাদেশ দ্বিদলীয় ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এ ধরনের দ্বিদলীয় ব্যবস্থায় রাষ্ট্র রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল থাকে। অনেক দেশে এর উদাহরণ রয়েছে। কিন্তু দেশে একটি দল আওয়ামী লীগ নিজেদের ভুল নেতৃত্বের কারণে এখন গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।

এই অবস্থায় মধ্যপন্থী হিসেবে পরিচিত বিএনপিকেও যেকোনো উপায়ে দুর্বল অবস্থানে ঠেলে দেওয়া হলে একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মিলিত শক্তিতে বড় ধরনের ফাটল সৃষ্টি হবে। এতে দেশের লাভ হবে বলে মনে হয় না। ’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ