রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যার ঘটনার রেশ না কাটতেই পুরান ঢাকায় আরেকটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটতে যাচ্ছিল। তবে রবিবার (১৩ জুলাই) রাতে রাজধানীর ওয়ারী হাটখোলা রোডে হত্যাচেষ্টা প্রতিহত করেছে সচেতন জনতা ও দায়িত্বশীল পুলিশ সার্জেন্ট। এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করা হয়েছে।
জানা গেছে, হামলার শিকার ওই কিশোরের নাম সৈয়দ রেদোয়ান মাওলানা। আটক হওয়া দুই যুবক হলেন আব্দুর রহিম মাহি (১৯) ও সাব্বির হোসেন রাতুল (১৯)।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, টিকাটুলি তে দেশি অস্ত্রশস্ত্র সহ ৭-৮ জনের একটা কিশোর গ্যাং একজনকে মারতে মারতে রাস্তা দিয়ে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায়। অনবরত বাইকের হেলমেট দিয়ে মাথায় আঘাত আর বেল্টের ব্রকলেস দিয়ে মাথার পিছনে আঘাত করায় ভিক্টিমের মাথা সামনে পিছনে দুই যায়গায় ফেটে যায়। এরপর যখন রাস্তায় ফেলে ইট দিয়ে মাথায় মারতে যাবে ঠিক তখনই স্থানীয় জনগন ও দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট তাদের ধাওয়া করে। পরে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
এ দিকে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, আটক দুই যুবককে লক্ষ্য করে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছে, তোদের মতো লোকদের কারণেই দেশটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। তোদের আর ছাড় নেই।
এ বিষয়ে ওয়ারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাকারিয়া খান বলেন, আটক দুজনের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাদের দাবি, তারা শিক্ষার্থী এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় বসবাস করে। আহত রেদোয়ান ওয়ারীর কে এম দাস লেনে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করে এবং সম্প্রতি এসএসসি পাস করেছে।
তিনি বলেন, রেদোয়ানের মাথায় আঘাত করা হয়েছে, তবে সে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। কী কারণে হামলা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাদের একেকজনের বক্তব্য একেক রকম। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, সময়মতো পুলিশ ও জনতা মিলে ঘটনাটি প্রতিরোধ করতে পেরেছে, না হলে বড় কিছু ঘটতে পারত।