মিটফোর্ড এলাকায় ব্যবসায়ী হত্যার উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মাঝেই সামনে এলো আরেক ঘটনা। এবার পাওনা টাকা চাওয়ায় আরেক ব্যবসায়ীকে দোকানে ঢুকে পেটালেন যুবদল নেতা। ঘটনাটির একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
শনিবার (১২ জুলাই) ফেনীর পরশুরামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর নাম সুমন হোসেন। অভিযুক্ত যুবদল নেতার নাম মো. সায়েম। তিনি দক্ষিণ কোলাপাড়া ৫ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি।
পরশুরাম উত্তর বাজারের ব্যবসায়ী সুমনের অভিযোগ, বকেয়া টাকা চাওয়াতে সায়েম ও তার ভাতিজা ফয়সালসহ কয়েকজন তাকে মারধর করেন। রাতেই ওই ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, যুবদল নেতা সায়েম ও তার ভাতিজা ফয়সালসহ কয়েকজন ওই ব্যবসায়ীকে জামার কলার ধরে টানাহেঁচড়া করছেন। একপর্যায়ে টানতে টানতে তার গায়ের পোশাক খুলে ফেলা হয়। তাকে মারধর করা হয়। বার বার টেনে সুমনকে দোকান থেকে বের করার চেষ্টা করা হয়।
ভুক্তভোগী সুমন হোসেন জানান, বর্তমানে তিনি পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এদিকে অভিযুক্ত যুবদলের ওয়ার্ড সভাপতি মো. সায়েমকে গত ২৫ জুন অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে পরশুরাম পৌর যুবদলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
পরশুরাম পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মোস্তফা খোকন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মিছফাকুছ ছামাদ রনি ও যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আবছার চৌধুরী কমল সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফেনী জেলা যুবদলের নির্দেশক্রমে পরশুরাম পৌর যুবদলের ৫ নং ওয়ার্ডের আহ্বায়ক মো. সায়েমকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মো. সায়েমের মোবাইলে বার বার কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ব্যবসায়ীকে তার মারধরের ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর বেশ সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। নেটবাসী তার শাস্তির দাবি করছেন।