শিরোনাম
রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক ছাত্রদলের তৃণমূল থেকে জেলা পর্যায়ে শুদ্ধি অভিযানের সিদ্ধান্ত বিএনপির ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মহাসচিবের ভাইয়ের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারির পায়ুপথ থেকে ২ হাজার ইয়াবা উদ্ধার বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পরপর ককটেল বিস্ফোরণ ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে চিলমারীতে বিক্ষোভ মিছিল চার উপদেষ্টার রংপুরে আগমন; বেরোবিতে ৬২ ঘণ্টার জন্য বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ ছাত্রদল দাঁড়ালে আপনারা কোথাও দাঁড়াতে পারবেন না, রাবি ছাত্রদলের হুঁশিয়ারি নির্বাচন হচ্ছে না বলেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে: ফখরুল জুলাই যোদ্ধাদের জন্য আজীবন ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও ভাতা চালু
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০১:২০ পূর্বাহ্ন

তারা প্রতি মাসে দুই লাখ করে টাকা চায়, না দেওয়ায় মেরেই ফেললো

ডেস্ক রিপোর্ট / ২৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

চাঁদা না দেওয়ায় ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় পৈশাচিক কায়দায় হত্যার শিকার হয়েছেন বরগুনার সন্তান লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯)। নিহত সোহাগের নানা বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে ঢাকা থেকে নিহত লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের মরদেহ বরগুনায় নিয়ে আসেন স্বজনরা। পরে নানা বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া, চলছে স্বজনদের আহাজারি।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাত্র সাত মাস বয়সে বজ্রপাতে সোহাগের বাবা আইউব আলী মারা যান। এরপর তার মা আলেয়া বেগম জীবিকার তাগিদে সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় চলে যান। ঢাকায় থেকেই সোহাগ বড় হয়েছেন এবং মেসার্স সোহানা মেটাল নামের একটি দোকান পরিচালনা করতেন পুরান ঢাকার মিডফোর্ড এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরে দোকান থেকে প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিল একটি সন্ত্রাসী চক্র। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় বুধবার বিকেলে সোহাগকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে তারা। এতেও চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সোহাগকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে পাথর মেরে হত্যা করা হয় বলে জানান স্বজনরা।

এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলেও সোহাগের স্বজনদের অভিযোগ, পুলিশ জড়িতদের বাঁচাতে কারসাজি করছে। তারা জানান, প্রকৃত অপরাধীদের বাদ দিয়ে মামলায় নিরীহদের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিহত সোহাগের মরদেহ নিজ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

সোহাগের বোন সাজেদা বেগম বলেন, আমার ভাই প্রায় ১০-১৫ বছর ধরে ব্যবসা করছিলেন। প্রতি মাসে তার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এছাড়াও তার ব্যবসাটাও নিয়ে নিতে চেয়েছে অভিযুক্তরা। তবে আমার ভাই তাদেরকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে তারা আমার ভাইকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন এবং নির্মমভাবে পাথর মেরে হত্যা করে।

সোহাগের মামা মো. মন্টু মিয়া বলেন, সোহাগ অনেক ভালো ছেলে ছিল। তাকে যেভাবে মারা হয়েছে ওইভাবে কোনো পশুর সঙ্গেও কেউ আচরণ করে না। যারা এ ধরনের কাজ করেছে, আমরা তাদের সঠিক বিচার ফাঁসি চাই।

নিহত সোহাগের ছেলে সোহান (১০) ও মেয়ে সোহানা (১৪) কাঁদতে কাঁদতে বলে, আমরা এখন এতিম হয়ে গেছি। বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেলো। যারা বাবাকে মেরেছে, আমরা তাদের ফাঁসি চাই।

নিহতের স্ত্রী লাকি বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার স্বামীর ব্যবসা সহ্য হচ্ছিল না ওদের। দীর্ঘদিন ধরেই আমার স্বামীর দোকান থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল হত্যাকারীরা। তারা প্রতি মাসে দুই লাখ করে টাকা চাইছিল। আমার স্বামী তা দিতে চায়নি। শেষমেশ আমার স্বামীকে মেরেই ফেললো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ