শিরোনাম
রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক ছাত্রদলের তৃণমূল থেকে জেলা পর্যায়ে শুদ্ধি অভিযানের সিদ্ধান্ত বিএনপির ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মহাসচিবের ভাইয়ের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারির পায়ুপথ থেকে ২ হাজার ইয়াবা উদ্ধার বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পরপর ককটেল বিস্ফোরণ ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে চিলমারীতে বিক্ষোভ মিছিল চার উপদেষ্টার রংপুরে আগমন; বেরোবিতে ৬২ ঘণ্টার জন্য বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ ছাত্রদল দাঁড়ালে আপনারা কোথাও দাঁড়াতে পারবেন না, রাবি ছাত্রদলের হুঁশিয়ারি নির্বাচন হচ্ছে না বলেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে: ফখরুল জুলাই যোদ্ধাদের জন্য আজীবন ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও ভাতা চালু
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন

তিস্তায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন, ঝুঁকিতে শতাধিক বসতবাড়ি

স্থানীয় রিপোর্ট / ৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পানি বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে গত সাত দিনের ব্যবধানে ৭৫টি পরিবারের বসতবাড়ি ও শতাধিক একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া ঝুঁকির মুখে পড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শতাধিক বসতবাড়ি ও ফসলি জমি।

এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার কাপাসিয়া, হরিপুর, শ্রীপুর ও চণ্ডীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের মুখে নদীতীরবর্তী বাসিন্দা অনেকে তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন। তিস্তায় পানি বেড়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ছাড়া এক চর হতে অন্য চরে যাওয়া-আসা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের লালচামার গ্রামে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চণ্ডীপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। প্রতিবছর তিস্তায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় নদীভাঙন। চলতে থাকে বছরব্যাপী। প্রতিবছর গড়ে পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি ও বিপুল ফসলি জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে।

কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটি কাপাসিয়া গ্রামের মামুন মিয়া জানান, হঠাৎ করে তিস্তার পানি বাড়তে থাকায় নদীভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে তাঁর বসতবাড়িসহ এক বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ভাঙনের মুখে শতাধিক বিঘা ফসলি জমি।

হরিপুর লখিয়ারপাড়া গ্রামের সোলেমান মিয়া বলেন, প্রতিবছর নদীর ভাঙনে বসতবাড়ি, আবাদি জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। চর এলাকার বাসিন্দাদের বারবার ঘরবাড়ি সরাতে হচ্ছে। কিন্তু স্থায়ীভাবে নদীভাঙন রোধের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

কাপাসিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মঞ্জু মিয়া জানান, তাঁর ইউনিয়নের উত্তর লালচামার গ্রামে তিস্তার তীব্র ভাঙনে সাত দিনে ৭৫ পরিবারের বসতবাড়ি ও বিপুল ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে শতাধিক পরিবার তাদের বসতবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে।

হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোজাহারুল ইসলাম অভিযোগ করেন, নদীখনন ও স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে বহুবার আবেদন করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শুধু জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে। স্থায়ীভাবে ভাঙন ঠেকানো না হলে চরবাসীর দুঃখ কোনোদিনও দূর হবে না।

সুন্দরগঞ্জ ইউএনও রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের জন্য এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।

গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, আপাতত জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ