শিরোনাম
পুলিশের প্রিজন ভ্যানেই সিগারেট খেতে দেখা গেলো গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার অন্যতম আসামীকে! স্ত্রীকে মেরে ফেলে ৯৯৯- এ কল দিয়ে স্বামী বললেন ‘আমাকে নিয়ে যান’ ২ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক কাউনিয়ায় তিস্তা নদী ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, প্রয়োজনের তুলনায় নেই জিও ব্যাগ রাজধানীর নিউ মার্কেটে সামুরাই, চাপাতিসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্রের গুদামের সন্ধান নীলফামারীতে মাকে মারধরের দায়ে ছেলের কারাদণ্ড গাজীপুরে ট্রেন লাইনচ্যুত, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে চলাচল বন্ধ হাসিনা বারোটা বাজিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার চব্বিশটা বাজায়ে দিসে : মির্জা আব্বাস সৈয়দপুরে ভুয়া ডিবি পরিচয়ে টাকা দাবির অভিযোগে দুইজন আটক রংপুরে রিকশা চালকদের মাঝে ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (VBD) রংপুর জেলার ছাতা বিতরণ
রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন

সাভারে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি ভাঙতে আসা জনতাকে এলাকাবাসীর বাধা

আরিফুল ইসলাম সাব্বির / ১৪৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ঢাকার সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজিব ও তার ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফখরুল আলম সমরের পৈতৃক বাসভবন “রাজ মঞ্জুরি”তে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতাকে ধাওয়া দিয়ে হটিয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, হামলা করে আগুন দিলে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন শঙ্কা থেকেই বাধা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাভারের একদল ছাত্র-জনতা “মার্চ টু মঞ্জুরি” কর্মসূচি ঘোষণা করে। এরপর বিকেলে সাভারের পাকিজা মোড়ে তারা জড়ো হন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারা হেমায়েতপুরের রাজিব-সমরের পৈতৃক বাসভবন রাজ মঞ্জুরির সামনে আসেন।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজ মঞ্জুরির সামনে এসে হ্যান্ডমাইকে দেশ থেকে সকল স্বৈরাচার বিতারণ ও স্বৈরাচারের আস্তানা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় “শহীদদের অবদান বৃথা যেতে দেওয়া হবে না” স্লোগান দেন তারা। এক পর্যায়ে ছাত্র-জনতা রাজ মঞ্জুরির প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে জানলার কাচ ভাঙচুর করেন এবং ভবনের বাইরে একটি অংশে আগুন দেওয়ার উদ্যোগ নেন। তখন স্থানীয় কয়েকজন বাধা দেন।

এ সময় উভয় পক্ষ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে সেখানে স্থানীয় আরো প্রায় শতাধিক লোক জড়ো হন। তারা ভাঙচুর করতে আসা ছাত্র-জনতাকে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেন।

মিজানুর রহমান নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “কিছু লোক ওই বাড়িতে আগুন দিতে আসে। বাড়িটিতে আগুন দিলে তা আশপাশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। আমরা এটি হতে দেব না, তাই তাদের সরিয়ে দিয়েছি।”

হামলায় অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে আমরা ওই বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম। তবে রাজিবের আত্মীয়স্বজন ও পেটুয়া বাহিনীর সদস্যদের একটি অংশ নিজেরা পরিস্থিতি ঘোলাটে করে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছে।”

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করার পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন মঞ্জুরুল আলম রাজিব ও তার ছোট ভাই ফখরুল আলম সমর। তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতার ওপর হামলার একাধিক মালাম রয়েছে।

 

আরিফুল ইসলাম সাব্বির (ঢাকা)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ