রংপুরে জামায়াতে ইসলামীর জনসভায় যোগ দিয়েছেন শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন ও বড় ভাই রমজান আলী।
শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জামায়াতে ইসলামীর বিভাগীয় জনসভায় যোগ দিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্যে দেন রমজান আলী।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে ভাই হত্যার বিচার চেয়ে রমজান আলী বলেন, ‘আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার এখনো পাই নাই। আমাদের পরিবার শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা কখন আবু সাঈদ হত্যার বিচার পাবো।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ এক বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পেয়েছি। চারজন কারাগারে এবং ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। শুধু পরোয়ানা জারি করলে হবে না। সারাদেশ ও দেশের বাইরে যেসব খুনি আছে, তাদের দেশে এনে জুলাই গণঅভ্যুত্থান মঞ্চ সাজিয়ে সেখানে তাদের ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে বিচার করতে হবে।’
রমজান আলী বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হাজারো মানুষ স্বৈরাচার সরকারের পতনের জন্য জীবন দিয়েছে। সবার চাওয়া হত্যার বিচার ও আহতদের খোঁজখবর নেওয়া। কারণ একমাত্র শহীদ ভাইদের কারণে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।’
জনসভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এরমধ্যে গণঅধিকার পরিষদের রংপুর জেলার আহ্বায়ক শেরে খোদা আসাদুল্লাহ ও জাতীয় নাগরিক পার্টির রংপুর মহানগরের যুগ্ম-সমন্বয়ক আলমগীর কবির মঞ্চে উপস্থিত থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়েছেন।
২০২৪ সালের ছাত্র গণ-আন্দোলনের শহীদ আবু সাঈদের খুনিসহ ফ্যাসিস্টদের বিচারের দাবি, নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ ও রাজনৈতিক সংস্কার এবং তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ চার দফা দাবিতে এই জনসভার আয়োজন করেছে জামায়াতে ইসলামীর রংপুর মহানগরী ও জেলা শাখা।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর রংপুরে আয়েজিত এই জনসভা শুরু হয় বিকেল ৩টায়। এর আগে জুমার নামাজ ওই মাঠেই অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে জামায়াতের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মুসল্লিরা অংশ নেন। দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সমাগমে কানায় কানায় পূর্ণ হয়েছে রংপুর জিলা স্কুলমাঠ। লোকসমাগম মাঠ ছেড়ে উপচে পড়েছে সড়কে।
মঞ্চে রংপুর বিভাগের আট জেলার নেতৃবৃন্দ ছাড়াও ইসলামী ছাত্রশিবির ও জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।