গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জনতা বেগম নামের এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেলে র্যাব: ১৩-এর মিডিয়া বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক বিপ্লব কুমার গোস্বামী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন – নিহত জনতা বেগমের শ্বশুর মতলব আলী (৬৫), শাশুড়ি লতিফুল বেগম (৫৬), ননদ মনি বেগম (৩০) দেবর আব্দুর ছাত্তার আলী (৩৫) ও আকতারুল ইসলাম (৩২)।
হত্যার শিকার জনতা বেগম সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের উত্তর মরুয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের মেয়ে ও শ্রীপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর মৎস্য খামার গ্রামের আব্দুল লতিফ মিয়ার স্ত্রী।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় – জনতা বেগমের সঙ্গে ১১ বছর আগে মতলব মিয়ার ছেলে আব্দুল লতিফের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জনতা বেগমসহ তার পরিবারকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল তারা। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ জুন সকাল ৯টার দিকে আব্দুল লতিফ তার স্ত্রী জনতা বেগমকে হাত-পা বেঁধে দা দিয়ে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে।
পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় জনতা বেগমকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনায় ১১ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
গাইবান্ধার র্যাব: ১৩-এর মিডিয়া বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, বুধবার (২ জুন) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৩ ও র্যাব-৪ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ঢাকার আশুলিয়ার নিশ্চিতপুর এলাকা থেকে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত একই পরিবারের পাঁচজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতার আসামিদের সুন্দরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।