অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আগামীতে রাষ্ট্রনায়ক হয়ে উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য। আজ বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি। ওই পোস্টে তিনি আসিফ মাহমুদের ‘ফ্যাশান সেন্স’ নিয়েও কথা বলেন।
পোস্টে আসিফ মাহমুদের একটি ছটি সংযুক্ত করে পিনাকী ভট্টাচার্য বলেন, একটা ফ্যাশন টিপস। এই ছবিতে দেখা যাইতেছে, একজন তরুণ অফ-হোয়াইট ব্লেজার, টি-শার্ট ও ট্রাউজার পরিছেন এবং তার সাথে পরিছেন স্পোর্টি হোয়াইট স্নিকার। এই স্টাইলডা ক্যাংকা, ক্যান এই ইস্টাইল কাজ করে, আর কারাই বা এড্যা ব্যবহার করে? বা এই পোশাকের সাথে স্নিকার কি মানানসই? হ্যাঁ, এটা খুবই মানানসই। তিনি আরো বলেন, এটাকে বলে, টোন-অন-টোন লুক। মানে হইতেছে, পোশাকের সব রঙ হালকা-সাদা বা ক্রিমশেড— আর তার সাথে মিল রাইখ্যা হোয়াইট স্নিকার দারুণভাবে ম্যাচ করিছে।
পাশাপাশি এইটারে বলে ফর্মাল-ক্যাজুয়াল মিক্স। মানে ধরেন, ব্লেজার-ট্রাউজার তো সাধারণত ফর্মাল, কিন্তু স্নিকার পরলে তা হয়ে যায় স্মার্ট-ক্যাজুয়াল। এই স্টাইলটা অফিসিয়াল মিটিং, মিডিয়া অ্যাপিয়ারেন্স বা তরুণ উদ্যোক্তাদের স্টাইল হিসেবে এখন খুব জনপ্রিয়। এখন প্রশ্ন করতে পারেন, কেন এইটা একটা স্টাইল ট্রেন্ড হিসেবে বিবেচিত হয়? কারণ, স্নিকার মানেই কমফোর্ট।
কিন্তু যদি সেটি পরিপাটি পোশাকের সাথে কনট্রাস্ট করে, তা হলে সেইটা হইয়া ওঠে স্টেটমেন্ট। আগে ফর্মাল মানে ছিলো অক্সফোর্ড শু। এখনকার প্রজন্ম সেই বাধা ভাইঙ্গা নতুন ফ্যাশন তৈরি করছে। তার উপ্রে এই লুক ক্যামেরা ফ্রেন্ডলি, সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ দৃষ্টি কাড়ে। এই স্টাইল হইয়া উঠছে ‘নিউ এজ এক্সিকিউটিভ’ বা ‘ইয়ং চেঞ্জমেকার’ লুক তৈরি করে, যুক্ত করেন তিনি।
পিনাকী বলেন, আপনি যদি আধুনিক, আত্মবিশ্বাসী ও কিছুটা ক্রিয়েটিভ ইমপ্রেশন দিতে চান— তবে ব্লেজার ও স্নিকার কম্বো নিঃসন্দেহে পরার মতো স্টাইল। কমেন্ট বক্সে কয়ডা ছবি দিলাম। সবাই বিখ্যাত এবং ফ্যাশন সচেতন মানুষ। সবার পায়ের জুতা লক্ষ্য করেন। এই তরুণ আগামীতে রাষ্ট্রনায়ক হইয়া উঠতে পারে। এলাহী ভরসা।