এবারের ৪৪তম বিসিএসে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে (দর্শন বিভাগ) সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন আল-আমিন ইসলাম। তবে তার এই সাফল্যের গল্প সবার থেকে অনেকটাই আলাদা। শৈশব থেকেই দারিদ্র্য ছিল আল-আমিন ইসলামের নিত্যসঙ্গী।
কুড়িগ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকার চর রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের নয়াচর জিগাপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের সন্তান আল-আমিন ইসলাম।
পরিবারে অভাব-অনটনের মধ্যেও থেমে থাকেননি তিনি। পড়াশোনার প্রতি ছিল তার অগাধ আগ্রহ ও অধ্যবসায়। নিজের পড়ালেখার খরচ জোগাতে টিউশনি করেছেন, কখনো কখনো কৃষিকাজেও সহযোগিতা করে পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
আল-আমিন ইসলাম ২০১১ সালে চরনেওয়াজী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। পরে রাজিবপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০১৩ সালে এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগে ভর্তি হন। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি ২০২৩ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পান।
বর্তমানে স্বীকারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। তবে শিক্ষকতা জীবনের পাশাপাশি তিনি বিসিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি চালিয়ে যান।
আল-আমিন ইসলাম বলেন, জীবনে বড় কিছু পেতে হলে অনেক কিছু ত্যাগ করতে হয়। আমি বিশ্বাস করি, দারিদ্র্য কোনো বাধা নয়, যদি মনের ইচ্ছা আর কঠোর পরিশ্রম থাকে তাহলে সাফল্য অর্জন করা খুবই সহজ। আমি শিক্ষার্থীদের বলব লেখাপড়ার কোনো বিকল্প নেই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারি।
আল-আমিনের বাবা আব্দুস সামাদ বলেন, আজ আমি খুবই খুশি, আমার ছেলে বিসিএসে চাকরি হয়েছে। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন।