তেল আবিব-তেহরানের সংঘাতের মধ্যে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই এ কথা ঘোষণা করেছেন। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে তিনি জানান, তার দেশ ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলা সম্পন্ন করেছে। স্থাপনাগুলো হলো ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান।
এই হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রকে ফের হুঁশিয়ার করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ি। তার টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে বুধবার (১৮ জুন) টেলিভিশনে দেয়া তার বক্তব্য আবারও শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ায়, তাহলে তা হবে তাদের নিজেদের ক্ষতির জন্য।
ওই ভিডিও বার্তায় খামেনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যে ক্ষতির মুখে পড়বে, তা ইরানের যে কোনো ক্ষতির চেয়ে বহুগুণ বেশি হবে।’
এদিকে ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফোরদোর একটি অংশে হামলা হয়েছে। ইরানের আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিমের খবরে বলা হয়েছে, কোম প্রদেশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনার একটি অংশে বিমান হামলা হয়েছে।
কোমের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সদর দপ্তরের মুখপাত্র মোরতেজা হেইদারিকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কয়েক ঘণ্টা আগে, শত্রুর লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করে কোমের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার পর ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনার একটি অংশ শত্রু বিমান হামলার শিকার হয়েছে।
ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরনা, নাতানজ এবং ইসফাহানে হামলার বিষয়টিও নিশ্চিত করছে। ইসফাহানের গভর্নরের সহকারী আকবর সালেহির বরাতে সংস্থাটি বলছে, “আমরা ইসফাহান এবং নাতানজের পারমাণবিক কেন্দ্রের কাছে হামলা প্রত্যক্ষ করেছি।” সালেহি বলেন, ইসফাহান এবং নাতানজে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থার এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ইরনা আরও জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে যেই তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার কথা বলছে, আদতে সেখানে এমন কোনো পদার্থ নেই যা তেজস্ক্রিয়তা সৃষ্টি করে। ওই কর্মকর্তার মন্তব্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ইরানি কর্তৃপক্ষ বোমা হামলার আগেই হয়তো ওই স্থাপনাগুলো থেকে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বা তেজস্ক্রিয় উপাদান সরিয়ে ফেলেছিল।