শিরোনাম
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ফুল দিতে আসা সেই রিকশাচালক জুলাই হত্যা মামলায় কারাগারে কক্সবাজার সফরে এসে হটাৎ অসুস্থ উপদেষ্টা ফারুকী, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে পাঠানো হচ্ছে ঢাকায় চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর কবজি কাটল কিশোরগ্যাং এর সন্ত্রাসীরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে বিদেশে-অনলাইনে পড়ে থাকতে হবে: নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারী জাতীয় দলে অভিষেকের আগেই কোচ হলেন আকবার নবাবগঞ্জে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা কাউনিয়ার হারাগাছ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত  আমাদের আসন দিয়ে কেনা যাবে না, আমরা বিক্রি হতে আসিনি।’ কক্সবাজার যাওয়া এনসিপির ৫ নেতার শোকজ প্রত্যাহার বগুড়ার গাবতলীতে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা
রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নামে টাকা জমার হার বেড়েছে ২৩ গুণ

ডেস্ক রিপোর্ট / ৫২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫

সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের নামে জমা থাকা অর্থ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে ২০২৪ সালে ওই দেশের ব্যাংকগুলোর দায় ও সম্পদের যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, সেখানে এই তথ্য পাওয়া যায়।

প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সাল শেষে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বাংলাদেশের নামে পাওনা রয়েছে ৫৯ কোটি ৮২ লাখ সুইস ফ্রাঁ। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ফ্রাঁ ১৫০ টাকা ধরে ) যা ৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। ২০২৩ সাল শেষে এই অংক ছিল ২ কোটি ৬৪ লাখ ফ্রাঁ, এখনকার বিনিময় হার ধরলে যা ৩৯৬ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নামে থাকা অর্থ বেড়েছে প্রায় ২৩ গুণ। ২০২২ সাল শেষে বাংলাদেশের কাছে সুইজারল্যান্ডের দায় ছিল ৫ কোটি ৮৪ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় ৮৭৬ কোটি টাকা।

সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে দায়ের মধ্যে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর পাওনা, আমানতকারীর পাওনা এবং পুঁজিবাজারে বাংলাদেশের নামে বিনিয়োগের অর্থ রয়েছে। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশের বেশি বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর পাওনা, যা বাণিজ্যকেন্দ্রিক অর্থ বলে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে থাকা অর্থের একটি অংশ পাচার করা সম্পদ হতে পারে বলে ধারণা করা হয়। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কয়েক বছর ধরে সুইজারল্যান্ড বার্ষিক ব্যাংকিং পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে। বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বা বিএফআইইউ সুইজারল্যান্ডের এফআইইউর সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগও করে। কিন্তু ব্যক্তির তালিকা সম্বলিত কোনো তথ্য তারা দেয়নি।

সুইজারল্যান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, অবৈধভাবে কেউ অর্থ নিয়ে গেছে- এমন প্রমাণ সরবরাহ করলে তারা সে বিষয়ে তথ্য দিতে সহযোগিতা করতে পারবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান যদি নিজের বদলে অন্য দেশের নামে অর্থ গচ্ছিত রাখে, তাহলে তা সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের নামে থাকা পরিসংখ্যানের মধ্যে আসেনি। একইভাবে সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত রাখা মূল্যবান শিল্পকর্ম, স্বর্ণ বা দুর্লভ সামগ্রীর আর্থিক মূল্যমান হিসাব করে এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অনেক দেশের নাগরিকই মূল্যবান সামগ্রী সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকের ভল্টে রাখেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ