ইরানের ভয়াবহ হামলায় ইসরায়েলে আহত বেড়েছে আরও ১৩৭ জন। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে চালানো এই হামলায় ইসরায়েলের অন্তত চারটি জায়গায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সেন্ট্রাল ইসরায়েলে তিনটি জায়গা, যা গুশ দান নামে পরিচিত। এই জায়গাটি বৃহত্তর তেল আবিবের একটি অংশ।
হামলায় ওই এলাকায় বেশকিছু ভবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া হলনে একটি ভবন ধসে পড়েছে এবং সোরোকা হাসপাতালেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এটি ইসরায়েলের অন্যতম বড় হাসপাতাল। মূলত গাজার যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে আহত অনেক সেনাকে এখানে ভর্তি করা হয়েছে।
মূলত হাসপাতালের পাশের একটি ভবনে আঘাত হানে ইরান। কিন্তু হাসপাতালেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং চিকিৎসা কর্মীরা জনসাধারণকে আঘাতস্থলের কাছে না যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে ইরানের সংবাদ সংস্থা ইরনা টেলিগ্রামে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার “প্রধান লক্ষ্যবস্তু” ছিল “বৃহৎ (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) কমান্ড অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স (আইডিএফ C4I) সদর দপ্তর এবং গাভ-ইয়াম টেকনোলজি পার্কে অবস্থিত সামরিক গোয়েন্দা শিবির”।
সংস্থাটি বলছে, এই সদর দপ্তর বের শেভার সোরোকা হাসপাতালের পাশে অবস্থিত। ইরনা দাবি করেছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে সৃষ্ট শকওয়েভ থেকে হাসপাতালটি সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে সামরিক অবকাঠামো সুনির্দিষ্ট এবং সরাসরি লক্ষ্যবস্তু ছিল।