পুলিশ সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় সন্ত্রাসীরা বেশি সুযোগ নিতে পারছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার দিবাগত রাতে পল্টনে মাদকবিরোধী অভিযানের সময় গুলিতে আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যের খোঁজ নেওয়া শেষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা বেশি সুযোগ নিতে পারছে না। কারণ পুলিশ সাহসিকতার সঙ্গে গুলির পরেও তাদের আটক করেছে।’
পল্টনের ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য ছিল, চট্টগ্রাম থেকে একটি গাড়ি আসছে। যেটার ভেতরে মাদক আছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির লালবাগ বিভাগের একটি টিম ফকিরাপুল এলাকায় চেক পোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায়। এই সময় একটি গাড়িকে থামার সিগন্যাল দিলে গাড়িটি সামনে এগিয়ে যায়। প্রায় ৬০০ গজ সামনে যাওয়ার পর গাড়িটি থামানো হয়।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘গাড়ি থেকে একজন গুলি করে করলে আমাদের তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এরমধ্যে অভিযানে নেতৃত্ব দানকারী সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহতদের মধ্যে একজন কনস্টেবল ও এএসআই রয়েছে। এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার ও গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। গাড়ি থেকে ৯ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।’
মাদক কারবারিকে চ্যালেঞ্জ করার পরও পুলিশের ওপর হামলা করল, বিষয়টা কীভাবে দেখছেন– এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশ খুব সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। গুলি করার পরও তারা তিনজনকে আটক করেছে। মাদক ও গাড়ি জব্দ করেছে। জীবন বাজি রেখে মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।’
পুলিশের অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে কথা উঠেছে, কিন্তু সন্ত্রাসীদের হাতে ভারী অস্ত্র- এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এই ঘটনায় ভারী অস্ত্র ব্যবহার হয়নি। পিস্তল ব্যবহার হয়েছে।’
পুলিশের জীবন রক্ষায় যে অস্ত্র নিয়ে কাজ করছে, এটা যথেষ্ট কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুলিশের যে ধরনের অস্ত্র দরকার সেটা দিয়েই কাজ করবে।’
এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী, ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম, রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।