শিরোনাম
ইডেন কলেজের সেই ছাত্রীকে কারাগারেই বিয়ে করলেন গায়ক নোবেল সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নামে টাকা জমার হার বেড়েছে ২৩ গুণ হত্যা মামলায় গ্রেফতার হলেন বেরোবি শিক্ষক ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব ও হাইফায় ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান ট্রাম্পকে ইরানের বিপক্ষে পদক্ষেপ নেয়া থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য গাইবান্ধার সাঘাটায় ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন গ্রেপ্তার লালমনিরহাটে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির সঙ্গে নামের মিল থাকায় সেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে আটক করলেন ওসি সারাদেশে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অ্যাডভোকেট আব্দুল হাদী বেলাল রংপুর মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রথম পাবলিক প্রসিকিউটর নিযুক্ত – মিঠাপুকুর ও রানীপুকুর বিএনপির পক্ষ থেকে অভিনন্দন পঞ্চগড়ে সেনা অভিযানে জাল ডলার উদ্ধার, আটক ৬
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০২:০২ পূর্বাহ্ন

গুম কমিশনে ২৫৩ জনের অভিযোগ প্রমাণিত: মইনুল ইসলাম

ডেস্ক রিপোর্ট / ৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫

গুম কমিশনে আসা ২৫৩ জনের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে গুলশানে সংবাদ সম্মেলনে গুম কমিশনের অবসরপ্রাপ্ত সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ১ হাজার ৮৫০টি অভিযোগ বিশ্লেষণের মধ্যে থেকে গুম হওয়া ২৫৩ জনের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। এতে স্পষ্ট হয় যে, বিগত সরকারের শাসনামলে গুম একটি সুশৃঙ্খল ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপে ‘জঙ্গিবাদবিরোধী’ অভিযানের ছায়াতলে ইসলামি উগ্রবাদের হুমকিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করা, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন এবং শাসন দীর্ঘায়িত করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছে। যার ভুক্তভোগী ছিল মেধাবী শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি পেশাজীবী। এ প্রক্রিয়ায় তারা ফৌজদারি বিচারব্যবস্থাকে অস্ত্র বানিয়েছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাবাধীন করেছে এবং নির্যাতন ও গোপনে আটকের সংস্কৃতি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে। এমনকি সাধারণ নাগরিককে বেআইনি পন্থায় বারবার ভারতীয় বাহিনীর হাতেও তুলে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ব্যাপারটা মোটেও এমন নয় যে একটি জঙ্গিবাদ দমন অভিযানে দু-একজন অসাবধানি কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক কিছু মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। বরং এটি ছিল একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দমনযন্ত্র, যা জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচারণাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে।

গুম কমিশনের সভাপতি বলেন, গুম থেকে ফিরে না আসা ১২ জনের বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান সম্পন্ন হয়েছে এবং তাদের গুমের জন্য কারা দায়ী তা প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করতে পেরেছি। চলমান অনুসন্ধানের স্বার্থে এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।

মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গুমের সঙ্গে র‌্যাব সবচেয়ে বেশি জড়িত। এছাড়া বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের পাশাপাশি ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীরাও জড়িত। বাংলাদেশে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভারতীয় যারা জড়িত তাদের বিষয়ে আমরা কিছু করতে পারব না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ