শিরোনাম
ইরানে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশি ৬৭২, খোঁজ রাখছে দূতাবাস গুমের ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা বিশাল শোভাযাত্রা নিয়ে নির্বাচনী মাঠে আমির হামজা ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে বোমা ফেলেছে ইসরায়েল রংপুর শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ কুড়িগ্রামের উলিপুরে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বিএনপির কমিটিতে, তৃণমুলের ক্ষোভ ইশরাকের শপথের সূযোগ নেই বললেন উপদেষ্টা আসিফ; এদিকে শপথ ছাড়াই মেয়রের ‘আসনে’ বসলেন ইশরাক রংপুরে চাঞ্চল্যকর শিশু হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার পারমাণবিক অস্ত্র না বানানোর চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা ইরানের দেশে একদিনে আরও ২৩৪ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন

নীলফামারিতে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির গাঁটরি থেকে মিলল সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকা

ডেস্ক রিপোর্ট / ১৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫

নীলফামারীর সৈয়দপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ভবঘুরের গাঁটরি ও পোশাকের ভেতর থেকে উদ্ধার হয়েছে সাড়ে তিন লাখের বেশি নগদ টাকা। পরে সেই টাকা থানার মাধ্যমে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার জিম্মায় রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, প্রায় ৪০ বছর ধরে সৈয়দপুর জিআরপি স্টেশন এলাকায় ভবঘুরে হিসেবে দিন কাটাচ্ছিলেন গণি মিয়া নামের ওই ব্যক্তি। স্থানীয়রা তাকে ভালোবাসতেন, খাবার দিতেন, অনেকে নগদ টাকাও দিতেন। সবই তিনি নিজের গাঁটরি ও শরীরে লুকিয়ে রাখতেন।

শনিবার বিকেলে ‘হিউম্যানিটি বাংলাদেশ’ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা তাকে গোসল করাতে গিয়ে পোশাকের বিভিন্ন স্থানে ও ব্যাগে টাকা দেখতে পান। পরে থানা-পুলিশ ও সমাজসেবা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে টাকা গণনা করা হয়। তাতে ১ হাজার টাকার নোট ১২৬টি, ৫০০ টাকার নোট ৩৫০টি এবং বিভিন্ন অঙ্কের নোট মিলিয়ে মোট ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫২ টাকা পাওয়া গেছে। অনেক ছেঁড়া-ফাটা টাকা হিসাবের বাইরে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকরা জানান, গণি মিয়া দীর্ঘদিন ধরে জিআরপি এলাকায় থাকেন। শীত-গরম, ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রায় ৩০ কেজি ওজনের গাঁটরি বহন করে তিনি ঘুরে বেড়াতেন। অনেকে খাবার ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করতেন।

গণি মিয়া দাবি করেন, তিনি ১৯৬৬ সাল থেকে সৈয়দপুরে এভাবে আছেন। তার বাবার নাম আইয়ুব। বাসা কোথায় জানতে চাইলে তিনি জানান, রংপুরের আলমনগর এলাকার রবার্টসনগঞ্জ মহল্লায়। তার ভাষ্য, মানুষজন যা দিত, তা তিনি এভাবে জমা রাখতেন।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দীন বলেন, ওই লোক মূলত শহরের জিআরপি এলাকায় বেশির ভাগ সময় থাকেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নগদ টাকা ও সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকসহ অন্য ব্যক্তিদের সামনে থানায় সেই টাকা গণনা করে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫২ টাকা পাওয়া যায়। পরে সেই টাকা উপজেলা সমাজসেবার কর্মকর্তা রশিদুল ইসলামের কাছে আমানত হিসেবে রাখা হয়েছে।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রশিদুল ইসলাম বলেন, ‘টাকা আমাদের কাছে গচ্ছিত আমানত হিসাবে রাখা হয়েছে। ওনার টাকা ওনার কল্যাণে কীভাবে ব্যয় করা যায় কিংবা ওনার কাছে কীভাবে নিরাপদ রাখা যায়, সেটা আমরা দেখছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ