জুলাই বিপ্লবে হামলা ও নিপীড়ন মামলায় গড়িমসি এবং প্যাসিবাদের দোসরদের মামলা থেকে বাদ দেওয়ার চক্রান্তের প্রতিবাদে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৫ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই বিক্ষোভ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এ সময়, তাঁরা “আমার ভাই কবরে/ খুনী কেন বাইরে”, “আপস না সংগ্রাম?/সংগ্রাম সংগ্রাম”, “মামলা নিয়ে তালবাহান/ চলবে না চলবে না”, “দালালি না রাজপথ?/ রাজপথ রাজপথ”, প্রভৃতি স্লোগান দেন।
এ সময়, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা করে নয় মাস পরেও যাঁরা বহাল তবিয়তে থাকে তাঁরা আসলে কোন প্রশাসনকে মেইনটেইন করে তা সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানতে চায়। আন্দোলনের নয় মাস পরেও যদি স্বৈরাচারের এই দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তবে প্রশাসনের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, প্রশাসন যদি সাধারণ শিক্ষার্থীকে বোকা বানিয়ে কোনোভাবে মামলা বাণিজ্য করার চেষ্টা করে বা কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করে তবে আরও একটি বিপ্লব ঘটিয়ে প্রশাসনকে যথাযথভাবে মামলা করাতে বাধ্য করা হবে।
ইসলামী ছাত্রশিবির বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সুমন সরকার বলেন, শহীদ আবু সাঈদ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের এক আইকনিক মডেলে পরিণত হয়েছেন। কিন্তু তাঁর শহীদ হওয়ার নয় মাস পেরিয়ে গেলেও আমরা এখনও চূড়ান্ত বিচার পাইনি। আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গুটিকয়েক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেপ্তার হলেও এখনও অনেক হামলাকারী ধরা-ছোঁয়ার বাইরে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। আমরা বলতে চাই শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলা নিয়ে যদি তালবাহানা করা হয়, তাহলে আমরা আরও বড় আন্দোলন গড়ে তুলব। আবু সাঈদের রক্তের সঙ্গে কোনো গাদ্দারি আমরা মেনে নিব না।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বেরোবি সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্না মুরসালিন বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জুলাই বিপ্লবের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের নামে ৯ মাসেও মামলা করতে পারেনি, এটা চরম লজ্জার। আমরা চাই সকল হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের সকলের নামে মামলা করতে হবে, কারো নাম বাদ দেওয়া যাবে না। সেই সাথে যারা হামলাকারী, মামলায় আসামি, আওয়ামী লীগের দোষর তাদের প্রমোশন, প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়ন করা যাবে না। এর ব্যতয়ন হলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো। প্রশাসনের টালবাহানা আর চলতে দেওয়া যাবে না।