শিরোনাম
নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনা: প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী নিহত, স্বামী আহত ডিসি মাসুদের বিরুদ্ধে প্রকৌশল শিক্ষার্থীকে গলা টিপে ধরার অভিযোগ আবরার ফাইয়াজের ১ হাজার ১ টাকায় মসজিদ ও মন্দিরকে জমি দিল সরকার প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের ডিসিসহ বেশ কয়েকজন আহত রাণীশংকৈলে কুলিক নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের গর্তে শিশু নিহতের ঘটনায় মানববন্ধন শেখ হাসিনাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান, ভূতের মুখে রাম নাম : অ্যাটর্নি জেনারেল পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষে আহত যুবকও ‘জুলাই যোদ্ধার’ তালিকায় কাউনিয়ায় ফলের দাম বেশি, কমেছে বিক্রি : হতাশায় ব্যবসায়ীরা সাংবাদিক থেকে গায়ক: আব্দুর রহমান ববিনের সুরের জাদু ভোট বানচালে দিল্লিতে হাসিনাকে ২৫০০ কোটি টাকা দিয়েছে এস আলম
বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:১৩ অপরাহ্ন

রাণীশংকৈলে কুলিক নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের গর্তে শিশু নিহতের ঘটনায় মানববন্ধন

মাহাবুব আলম,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি / ১৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল কুলিক নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের গর্তে পড়ে শিশু নিহতের ঘটনায় বুধবার (২৭ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিন হয়। অভিযোগ উঠেছে মানববন্ধনটি বানচালের জন্য ইউএনও ব্যাপক চেষ্টা চালিয়েছে। অবশেষে অল্প সখ্যাক মানুষের অংশগ্রহণে মানববন্ধনটি শেষ হয়।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন,পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাব-ঠিকাদার মতিউর রহমান ও ইউএনও শাফিউল মাজলুবিন রহমানের অবহেলাজনিত অপরাধের বিচার দাবী করেন। বর্তমানে উত্তরগাঁও এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া কুলিক নদীর বালু তোলা অংশটি ব্যাপক ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এটির দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে এলাকাবাসীকে বিপদ থেকে রক্ষা করার দাবী তোলা হয়। তারা আরো বলেন, ইউএনও যদি আইনভঙ্গ করে, তাহলে রক্ষা করবে কে? যেখানে ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু তোলার অপরাধে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। কিন্তু চতুর ইউএনও উল্টো ঠিকাদারের ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে রামরায় পুকুরে নিয়ে এসেছেন। আর নদীর সেই গর্তে উত্তরগাঁও গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে শায়ান আহাম্মদ নদীতে খেলাধুলা করতে গিয়ে ড্রেজারের বালু তোলা গর্তে পড়ে পানির নিচে তলিয়ে যায়। পরে ড্রেজার মেশিনের লোকজন তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

নিহতের মা বিলকিস বেগম জানান, আমার ছেলের বিনিময়ে আমি কিছু চাইনা, যাদের অবহেলায় আমার সন্তানটি মারা গেছে তাদের বিচার চাই।

এপ্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল মাজলুবিন রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা মুঠোফোনে জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। শিশুর মৃত্যুর ঘটনাটি অনন্ত দুঃখজনক। তবে ইউএনও বলেছেন সে বালু কিনে নিয়েছে। ইভার ব্যাংক প্রটেকশন প্রকল্পের আওতায় কনটাক্টরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি যদি ড্রেজারের মাধ্যমে নদী থেকে বালু তোলে থাকে তাহলে সেটি বে-আইনি জেলা নির্বাহি প্রকৌশলী কে দায়িত্ব দিয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ