শিরোনাম
টকশো করে লাখ টাকা আয় করেন, জানালেন হান্নান মাসউদ জিনের বাদশাহর ভণ্ডামি: মিঠাপুকুরে দুই দশক ধরে প্রতারণার সাম্রাজ্য, অলৌকিকতার নামে সর্বস্বান্ত অসংখ্য পরিবার রংপুরে আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ শিগগিরই: চীনা রাষ্ট্রদূত মানবেতর জীবন যাপন করছেন রফিকুলের পরিবার এই সরকার জনগণের জান-মালের নিরাপত্তায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে: জাপা মহাসচিব ফেসবুকে তারেক রহমানকে দেশে এনে বিচারের দাবি করে ভিডিও; শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে দিনাজপুরে মানববন্ধন সাংবাদিক তুহিন হত্যায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে লুকিয়েও রেহাই নেই ছাত্রলীগ নেতার; পুলিশের হাতে গ্রেফতার সড়ক পার হতে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় জামায়াত নেতা নিহত
শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৫৮ অপরাহ্ন

মানবেতর জীবন যাপন করছেন রফিকুলের পরিবার

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি / ৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫

এ যেন এক অবর্ণনীয় মানবিক সংকট। বাড়িতে নেই এক মুঠো তরকারিও। পাশের খেত থেকে কচু তুলে এনে সকালে পরিবারের খাবার রান্না করেন স্বপ্না বেগম। রান্না শেষে যখন ছেলেরা খাবার খায়, তখনো থাকে অনিশ্চয়তা—পরের বেলা কী খাবে?

এই দৃশ্য কোনো কল্পনা নয়, বাস্তব। রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার আজ জীবন-মরণের চরম দ্বন্দ্বে। সাত সন্তানের মধ্যে দুইজন মারা গেছেন, আর বাকি সন্তানদের মুখে নিয়মিত খাবার তুলে দিতে পারেন না তিনি।k!

রফিকুল করেন দিনমজুরীর কাজ। স্ত্রী স্বপ্না বেগমও অসুস্থ। তবুও তিনিই ঘর সামলান, কখনো খেত থেকে কচু তুলে, কখনো না খেয়ে সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেন।

জীবিকার সন্ধানে মাত্র ১৩ বছর বয়সী ছেলে আবু সায়েম ঢাকায় কাজ করতে বাধ্য হয়েছে। দিনমজুর বাবা, মায়ের দুর্বলতা—সব মিলিয়ে জীবনের চাকা যেন থেমে গেছে তাদের জন্য।পড়াশোনা নয়, ছোট্ট এই বয়সে সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে সায়েম।!

রফিকুল ও স্বপ্না দম্পতি থাকেন কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের হাটিথানা পুটিমারী এলাকায় বাঁধের পাশে।

স্থানীয়রা জানান, খুব মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। সন্তানদের মুখে ঠিক মতো খাবার দিতে পারে না। রফিকুল বাইরে কাজে গেলে সন্তানদের দেখা শোনা একায় করতে পারেন মা স্বপ্না। তাই বাধ্য হয়েই বাড়িতে থেকে দিনমজুরির কাজ করে কোনো রকম সংসার চালান। এলাকাবাসী বিভিন্ন সময় সহায়তা করেন তাদের।

রফিকুল ইসলাম জানান, ছেলে মেয়েদের ঠিকভাবে ভরনপোষণ দিতে পারেন না। বাধ্য হয়ে ১৩ বছরের ছেলে সায়েমকে ঢাকায় সাইটে কাজ করার জন্য পাঠিয়েছি। তারপরেও বাকি জমজ সন্তান সহ চার সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েছি।

মা স্বপা বেগম বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বাররাও সহযোগীতা করেন না। খুব কষ্ট করে দিন পাড় করছি। বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন পরিবারটি। প্রয়োজন- বিকাশ 01317125132 (রফিকুল)।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ