লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলাসহ পাঁচটি উপজেলায় মাত্র দুইজন সাব-রেজিস্ট্রার দিয়ে জমি রেজিস্ট্রির কাজ চলছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ জনগণ। জমি ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য দলিল রেজিস্ট্রি করতে গিয়ে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে গ্রাহকদের। এতে যেমন নাগরিকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন, তেমনি সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।
কালীগঞ্জের তুষভান্ডার সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতি সপ্তাহে প্রায় ২০০টি দলিল রেজিস্ট্রি হয়, যেখানে প্রতি লাখ টাকার রেজিস্ট্রিতে চার স্তরে সরকার ৭,৫০০ টাকা করে রাজস্ব পায়। কিন্তু স্থায়ী সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় সপ্তাহে মাত্র একদিন অফিস করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এতে কাজের চাপ বাড়ে এবং জটিলতা সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার আটটি ইউনিয়ন থেকে মানুষ দলিল রেজিস্ট্রি করতে আসলেও অধিকাংশ দিন সাব-রেজিস্ট্রার অনুপস্থিত থাকেন। অনেকেই সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বসে থেকেও কাজ সম্পন্ন করতে পারছেন না।
স্থানীয় কয়েকজন কৃষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “তারিখ ঠিক থাকার পরও সাব-রেজিস্ট্রার আসেননি। আবার আসতে হয়েছে।”
দলিল লেখকরা জানান, ব্যাংক ড্রাফট ও কাগজপত্র জোগাড় করতেই একদিন কেটে যায়, কিন্তু সাব-রেজিস্ট্রার না থাকলে পুরো প্রক্রিয়াই ব্যর্থ হয়।
বর্তমানে হাতীবান্ধা উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার আরিফ ইশতিয়াক অতিরিক্ত দায়িত্বে লালমনিরহাট সদর, তুষভান্ডার ও হাতীবান্ধার কাজ সামলাচ্ছেন। ফলে সময়মতো অফিসে উপস্থিত হতে না পারায় দলিল নিবন্ধন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে ৪০ জন দলিল লেখক, ৮৭ জন নকলনবিশসহ শতাধিক পেশাজীবী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
সচেতনমহল দ্রুত স্থায়ী সাব-রেজিস্ট্রার নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।