রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ শিক্ষার্থী মাহিয়া তাসনিম (১৫) মারা গেছে। স্কুলটির অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সে। এ নিয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ জনে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বার্ন ইন্সটিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন মাহিয়ার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইন্সটিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, মাহিয়ার শ্বাসনালীসহ শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ক্রিটিকাল অবস্থায় ছিল সে। মাইলস্টোনের ঘটনায় এ ইন্সটিটিউটে ১৩ জনের মৃত্যু হলো।
হাসপাতালে নিহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে থাকা স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানান, উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউক প্রজেক্টের ডি-ব্লকে থাকে পরিবারটি। তিন মেয়েকে রেখে গত পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন মাহিয়ার বাবা মোহাম্মদ বিশ্বাস। মা গৃহিণী আফরোজা খাতুন আর ফুফু মিলে বাচ্চাদের লালন পালন করতেন। তবে মা মৃত্যুর বিষয়ে এখনো কিছু জানেন না। তিনি উত্তরার বাসায় অবস্থান করছেন।
এর আগে দুপুর পৌনে ২টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন মাহতাবের মৃত্যু হয়। স্কুলটির সপ্তম শ্রেণিতে ইংলিশ ভার্সনে পড়ত সে। তার শ্বাসনালীসহ শরীরের ৮৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ক্রিটিকাল অবস্থায় ছিল সে। আইসিইউতে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।