জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা সমন্বয় কমিটি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ করেছেন সংগঠনটির যুগ্ম সমন্বয়কারী জাহিদ হাসান জীবন। কমিটিতে স্বজনপ্রীতি ও টাকার বিনিময়ে ফ্যাসিবাদ সমর্থিত কর্মীদের পদ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
এদিকে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গাইবান্ধা জেলার মুখ্য সমন্বয়ক হিসেবে জীবন দায়িত্ব পালন করেছেন এবং এখনও দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
এনসিপির নব ঘোষিত ফুলছড়ি উপজেলা সমন্বয় কমিটিতে একজন প্রধান সমন্বয়কারী, দুইজন যুগ্ম সমন্বয়কারীসহ মোট ২১ জন সদস্য রাখা হয়েছে। এই কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মওখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
গত শনিবার (১৪ জুন) রাতে এনসিপির কেন্দ্রীয় ফেসবুক পেজে ২১ সদস্যের সমন্বয় কমিটি নাম প্রকাশ করে অনুমোদন প্রকাশিত হয়। রাতেই নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে জাহিদ হাসান জীবন পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
ফেসবুক পোস্টে জীবন উল্লেখ করেন, এনসিপির নবগঠিত ফুলছড়ি উপজেলা সমন্বয় কমিটিতে টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। যারা এনসিপির হয়ে মাঠে কাজ করেছে, তাদের মূল্যায়ন না করে শুধু আর্থিক লেনদেনের ভিত্তিতে পদ দেয়া হয়েছে। এ কারণে আমি এই বিতর্কিত কমিটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছি। তবে জুলাই স্পিড ধারণ করে আমি অরাজনৈতিক সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্লাটফর্মে কাজ চালিয়ে যেতে চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহিদ হাসান জীবন জানান, আমার দায়বদ্ধতা থেকে আমি বিষয়টি সামনে এনেছি। টাকার বিনিময়ে রাজনীতি চলতে পারে না। এনসিপি একটি নতুন আশার সংগঠন ছিল, কিন্তু এভাবে দল পরিচালিত হলে সেটাও ধ্বংস হয়ে যাবে। তবে জাহিদ হাসান এনসিপির সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করলেও অরাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর গাইবান্ধা জেলার মুখপাত্র হিসেবে তার ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে জানান।