শিরোনাম
‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাশে থাকবে চীন’ চার নেতা ও গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির প্রস্তাব ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধাবস্থার প্রেক্ষিতে, হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেবীগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জেরে দোকানে হামলা, ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতাসহ আহত ৩ লাইভে গুলি করতে প্ররোচনার ঘটনায় বেরোবির প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা গ্রেপ্তার সারাদেশে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে – আবহাওয়া অধিদফতর ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক, হয়েছেন ছাত্রদলেরও প্রচার সম্পাদক লাহোরে বিস্ফোরক-বোঝাই ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান হত্যা মামলা মাথায় নিয়ে দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ কুড়িগ্রামের রৌমারী ও ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে ৪৪ জনকে আটক করলো বিজিবি
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ০৭:১৫ অপরাহ্ন

৮৭ কোটি টাকার কাজ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা আ’লীগ নেতার, সহায়তায় বিএনপি

ডেস্ক নিউজ / ৩০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫

সিলেটে ঠিকাদারের কাছ থেকে ৮৭ কোটি টাকার একটি কাজ বাগিয়ে নিতে তাঁকে ডেকে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা আজাদ হোসাইনের বিরুদ্ধে। নির্যাতিত ঠিকাদার শফিকুল ইসলামের ফোনে পুলিশ এলে আজাদকে পালাতে সহযোগিতা করেন স্থানীয় বিএনপির নেতারা। গতকাল বুধবার সিলেট নগরীর ইলেকট্রিক সাপ্লাই এলাকার ক্রিস্টাল হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।

আজাদ হোসাইন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি তাহিরপুর উপজেলার বালুজড়ি ইউপি চেয়ারম্যানও। অন্যদিকে ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম নগরীর সুবিদবাজারের বাসিন্দা। তাঁর মূল বাড়ি সুনামগঞ্জে।

ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ডিসেম্বরে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সুনামগঞ্জের আওতাধীন সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর সড়কের উন্নয়নকাজে ৮৭ কোটি ৬০ লাখ টাকার কার্যাদেশ পায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজটি সম্পাদনের দায়িত্ব পান শফিকুল ইসলাম। তিনি সহযোগিতার জন্য আজাদ হোসাইনকে অর্ধেক অংশীদারিত্ব দিয়ে চুক্তিনামা করেন। কাজ চলা অবস্থায় বুধবার দুপুরে ক্রিস্টাল হোটেলে শফিককে ডেকে নেন আজাদ। স্ট্যাম্প পেপার বের করে অংশীদারিত্ব ছেড়ে দিতে তাতে শফিককে সই দিতে চাপ দেন আজাদ ও তাঁর সহযোগীরা। শফিক রাজি না হলে তাঁকে গালাগাল ও মারধর করা হয়। শরীরের পোশাক টেনে ছিঁড়ে ফেলেন হামলাকারীরা। খবর পেয়ে পুলিশ হোটেলে অবস্থান নেয়। বিপদ আঁচ করতে পেরে আজাদ মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সাদিকুর রহমান সাদিক, দলীয় কর্মী মিলটন ও হোটেল মালিক নিশু দাসকে ফোন করেন। তারা এসে আবারও সমঝোতার কথা বলে আজাদকে কৌশলে হোটেল থেকে পালাতে সহায়তা করেন। অভিযোগ উঠেছে, মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বিএনপি নেতারা আজাদকে পালাতে সহায়তা করেছেন।

এ ঘটনায় আইনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানিয়ে ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ‘কাজের জন্য আজাদকে অংশীদার করেছিলাম। তিনি এখন এককভাবে কাজটি কবজায় নিতে ডেকে এনে মারধর করলেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজাদকে হোটেল থেকে পালাতে সহায়তা করেছে একটি চক্র।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ