শিরোনাম
সংবিধানের ‘চতুর্থ তফসিলে’ জুলাই ঘোষণাপত্র অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে বিএনপি ১৮ বিচারককে বাধ্যতামূলক অবসর দিনাজপুর বোর্ডে পাসে এগিয়ে ঠাকুরগাঁও ৩২০ জন পরীক্ষার্থীর সবাই জিপিএ ফাইভ; এসএসসি ফলাফলে দেশসেরা নরসিংদীর নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুল অ্যান্ড হোমস ৩০ বছর পর দম্পতির এসএসসি পাস, অদম্য ইচ্ছাশক্তির জয় সৈয়দপুরে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ, রেলওয়ে পুলিশের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলো কিশোরী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে বিষপানে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা  ঠাকুরগাঁওয়ে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা কোনো নির্বাচনে ব্যবহার হবে না ইভিএম: ইসি সানাউল্লাহ উচ্চপদস্থ নারী সরকারি কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ ডাকার নিয়ম বাতিল
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০২:০৭ পূর্বাহ্ন

৩০ বছর পর দম্পতির এসএসসি পাস, অদম্য ইচ্ছাশক্তির জয়

ডেস্ক রিপোর্ট / ৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০২৫

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার পরিচিত সাংবাদিক দম্পতি মো. কাইসার হামিদ (৫১) ও মোছা. রোকেয়া আক্তার (৪৪) এবার দাখিল (এসএসসি সমমান) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নতুন উদাহরণ তৈরি করেছেন। বিয়ের ৩০ বছর পর একসঙ্গে পরীক্ষা দিয়ে সফল হন তাঁরা। দুজনেই পেয়েছেন জিপিএ ৪.১১।

সাংবাদিকতার পাশাপাশি দীর্ঘদিন তাঁদের একটি কষ্ট ছিল—এসএসসি পাস না করা। সেই অপূর্ণতা দূর করতে এবার নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বিন্নাবাইদ দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেন এবং সফল হন।

কাইসার হামিদ দৈনিক নয়াদিগন্ত ও রোকেয়া আক্তার দৈনিক বুলেটিন পত্রিকার কুলিয়ারচর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। দুজনের বাবাই ছিলেন শিক্ষক, এবং পরিবারের অন্য সদস্যরাও উচ্চশিক্ষিত।

কাইসার হামিদ বলেন, “সাংবাদিকতায় আমার বয়স ৩০ বছরের বেশি। সমাজ থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। কিন্তু একটাই কষ্ট ছিল—এসএসসি পাস না করা। বাইরে গেলে কেউ কেউ ব্যঙ্গ করতেন, এমনকি বলতেন, ‘এসএসসি না পাস করে সাংবাদিকতা করেন কীভাবে?’ সেসব কথা খুব লাগত। তখনই সিদ্ধান্ত নিই, পরীক্ষা দেব।”

রোকেয়া আক্তার বলেন, “কম বয়সে বিয়ে, এরপর সন্তান। তাই আর পড়াশোনায় ফেরা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে এই কষ্ট বুকের মধ্যে লালন করতাম। অবশেষে বুঝলাম, সাহস করে পরীক্ষা না দিলে শান্তি মিলবে না। এবার সেটা করে দেখালাম।”

দম্পতির পাঁচ সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে নাসরিন সুলতানা স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। দ্বিতীয় মেয়ে জেসমিন সুলতানা স্নাতক শেষ বর্ষে, তৃতীয় সন্তান মাইমুনা নার্সিংয়ে অধ্যয়নরত। ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন নবম শ্রেণিতে ও আবদুল্লাহ ফাহিম সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

মেয়ে জেসমিন বলেন, “মা–বাবার এসএসসি পাস করা আমাদের ভাইবোনদের জন্য গর্বের। এটা আমাদের কাছে আনন্দ আর প্রেরণার ব্যাপার।”

দম্পতির গ্রামের বাড়ি কুলিয়ারচরের গোবরিয়া গ্রামে। রোকেয়ার পিত্রালয় কটিয়াদী উপজেলার দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামে। ১৯৯৪ সালের ১৬ মার্চ তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ