চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে ২৪৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। গত বছরের একই মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে ৫৬ কোটি ৪১ লাখ ডলার, যা ২৯.৪৮ শতাংশ।
গত বছর জুলাই আন্দোলনের মধ্যে সরকারকে অসহযোগিতার জন্য রেমিট্যান্স না পাঠানোর ডাক দেন ছাত্র-জনতা। এতে করে রেমিট্যান্স কমে ১৯১ কোটি ডলারে নেমেছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বৈধ চ্যানেলে মোট ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩৩ কোটি ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। আগের অর্থবছর এসেছিল ২ হাজার ৩৯১ কোটি ডলার। এর মানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৬৪১ কোটি ডলার বা ২৬ দশমিক ৮২ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সামগ্রিক পরিস্থিতির উন্নতির কারণে গত জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ৩১ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে।
যা গত ২৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে সর্বশেষ ২০২৩ সালের মার্চের শুরুতে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল। আর জুন শেষে বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার।
২০২৩ সালের জুন থেকে আইএমএফের শর্ত মেনে হিসাব প্রকাশ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ওই সময় রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০২১ সালের আগস্টে। সেখান থেকে কমতে–কমতে আওয়ামী লীগ পতনের সময় রিজার্ভ নেমে আসে ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে।
আইএমএফের পরামর্শে গতবছরের ৮ মে ডলার দরে ‘ক্রলিং পেগ’ চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সময় এক লাফে প্রতি ডলারে ৭ টাকা বাড়িয়ে মধ্যবর্তী দর ঠিক করা হয় ১১৭ টাকা।
এরপর ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স দ্রুত বাড়ছিল। তবে জুলাই আন্দোলন শুরুর পর রেমিট্যান্স শাটডাউনের ডাক, ব্যাংক বন্ধসহ বিভিন্ন কারণে প্রবাসী আয়ে ছন্দপতন হয়।