শিরোনাম
হাসপাতালে আহতদের দেখতে উপদেষ্টা নেতাদের ভিড়; চিকিৎসা-উদ্ধার ব্যাহত, সমালোচনা স্কুল থেকে ছেলে ফিরলেও এখনো ফেরেননি ছেলেকে আনতে যাওয়া মা ২০ শিক্ষার্থীর জীবন বাঁচানো সেই শিক্ষিকা মেহেরীন না ফেরার দেশে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ: লোডশেডিংয়ে উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলা মাইলস্টোন ট্রাজেডি; সারাদেশে দোয়া মাহফিল করবে বিএনপি ছেলেকে পেলেও তৃতীয় শ্রেণির আফিয়াকে হন্যে হয়ে খুঁজছেন মা রাষ্ট্রীয় শোক থাকলেও স্থগিত হচ্ছে না এইচএসসি: পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত ভারত : মো‌দি দগ্ধদের দেখতে নেতাকর্মীদের নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া বন্ধ করুন: সারজিস মাইলস্টোন নয়, দিয়াবাড়ির ফাঁকা স্থানে বিমানটি নেওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন তৌকির
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন

২০ শিক্ষার্থীর জীবন বাঁচানো সেই শিক্ষিকা মেহেরীন না ফেরার দেশে

ডেস্ক রিপোর্ট / ৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫

রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় স্কুলের শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরীর দৃঢ় উপস্থিতি ও দ্রুত সিদ্ধান্তে প্রায় নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী। যদিও শিক্ষার্থীদের উদ্ধারের পর নিজেই ঠিকঠাক বের হতে পারেননি; পুরে গেছে তার শরীরের একটি অংশ। সোমবার (২১ জুলাই) জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে লাইফ সাপোর্টে চিকিতসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।

সোমবার (২১ জুলাই) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহারিন চৌধুরী (৪০) ও আফনান (১৪) নামে এক শিক্ষার্থী মারা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনার মুহূর্তে দ্রুত শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুম থেকে বের করে আনেন সেই শিক্ষিকা। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের বের করে দিয়ে নিজেই যথাসময়ে বের হতে পারেননি। উদ্ধার অভিযানে থাকা এক সদস্যও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষিকা মেহেরীনকে (৪৬) উদ্ধার করা এমনই একজন মাইলস্টোন ছাত্রী মেহেরিন (১২)। তার বাবা সুমন নিশ্চিত করে বলেন, ম্যাডাম অনেক ভালো ছিল। সেনাবাহিনী আমাদের বলেছে, ‘শিক্ষিকার জন্য অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী বেঁচে গেছেন।’

মেহেরীন চৌধুরী নীলফামারীর জলঢাকার সন্তান ও জলঢাকা বগুলাগাড়ি স্কুল এ্যান্ড কলেজের এ্যাডহক কমিটির সভাপতি। এছাড়াও তিনি ছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভাতিজি।

উদ্ধার হওয়া চতুর্থ শ্রেণীপড়ুয়া ছোঁয়ার মামা জানান, খালি চুল পরে থাকতে দেখেছি। অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম। পরে জানতে পারি, এক ম্যাডাম ছোঁয়াকে উদ্ধার করে বাইরে বের করে দিয়েছে। বর্তমানে সে পিজি হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

ছোঁয়ার মামার ভাষ্যমতে, খালি চুল পরে আছে ওইদিকে, দেখেই অজ্ঞান হয়ে গেছি। পরে দুজন আর্মি আমাকে টেনে নিয়ে ভিতর থেকে বাইরে নিয়েছে। পরে আবার এসে ২ ঘণ্টা খুঁজেছি, কিন্তু পাইনি। পরে এক ম্যাডাম নাকি ছোঁয়াকে, ও (ছোঁয়া) ইনজুরি হয়েছে; ওরে পিজি হাসপাতালে নিয়ে গেছে। পরে এক শিক্ষক ফোন করে বলে আপনার বাচ্চাকে আমরা এখানে নিয়ে আসছি। পরে ও (ছোঁয়া) বলতেছে, মামা আমি ক্যাডেট কলেজে ক্যামনে পড়মু।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ