গাজীপুরের টঙ্গীতে চাঁদা না পেয়ে এক নারী ও তার স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তি টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম। ওই নারীর অভিযোগ, বিশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এক লাখ দেওয়া বাকি টাকার জন্য তাকে ও তার স্বামীকে মারধর করেন স্থানীয় এই নেতা।
জানা যায়. ভুক্তভোগী শিরিন আক্তার ও তার স্বামী আব্দুল কাদের স্থানীয় যুবদলের একজন কর্মী। গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে তারা এ ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, ভুক্তভোগী শিরিন তার পিতার মৃত্যুর পর সাড়ে চৌদ্দ কাঠা জমির মালিক হন। চার মাস আগে পাঁচ কাঠা জমি বিক্রি করতে গেলে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমসহ আরও ১০ জন ব্যক্তি তার কাছে বিশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। বাধ্য হয়ে তিনি এক লাখ টাকা দিয়ে জমি বিক্রি করেন। কিন্তু তারপরও জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে আরও চাঁদা দাবি করে। এতে অস্বীকৃতি জানালে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্রিত জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের সময় অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম ও তার অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্রসহ শিরিনের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা শিরিন ও তার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে জোর করে বের করে দেয়।
লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা এখন জোরপূর্বক বিক্রিত জমিতে নিজেদের মতো করে বাউন্ডারির কাজ চালাচ্ছেন এবং শিরিনকে তার নিজ বাড়িতে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। এ অবস্থায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
শিরিন বলেন, ‘আমার স্বামী বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী, তারপরও আমাদের চাঁদা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে এমন হয়রানি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অমানবিক। আমি বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব ও প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার চাই।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘শিরিন ও তার ভাইবোনদের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। শুক্রবার নামাজের আগে তারা নিজেদের মধ্যে মারামারিতে জড়ায়। আমি পরিস্থিতি শান্ত করে মসজিদে যাই। নামাজ শেষে ফিরে এসে দেখি তারা আবার ঝগড়ায় লিপ্ত। তখন স্থানীয় নেতা ইব্রাহীমকে নিয়ে গিয়ে তাদের থামিয়ে দিই।’
এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসকান্দর হাবীবুর রহমান বলেন, ‘আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’