অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই অঞ্চলে (রংপুর) তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এই প্রকল্পে চীন সরকার ও বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে টাকা দেবে। প্রকল্পের মেয়াদ ১০ বছর। এর মধ্যে প্রথম পাঁচ বছরে সেচ, ভাঙন রোধ ও স্থায়ী বাঁধ—এই তিনটি জিনিসকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা স্মারক মাঠে শহীদ আবু সাঈদের শাহাদাতবার্ষিকী ও জুলাই শহীদ দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
শিল্পায়নের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘কুড়িগ্রামে ইকোনমিক জোন তৈরি করা হবে। এটি ২১৫ একর জায়গা জুড়ে থাকবে। এই কাজ ভুটান করবে। রংপুরের শ্যামাসুন্দরী খাল বা নদী যাই আপনারা যাই বলেন, ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই খালটি খনন করা হবে।’
শিল্পায়নের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘কুড়িগ্রামে ইকোনমিক জোন তৈরি করা হবে। এটি ২১৫ একর জায়গা জুড়ে থাকবে। এই কাজ ভুটান করবে। রংপুরের শ্যামাসুন্দরী খাল বা নদী যাই আপনারা যাই বলেন, ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই খালটি খনন করা হবে।’
সবার মধ্যে ঐক্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে যেন কেউ বিভেদ সৃষ্টি করতে না পারে। বিভেদ সৃষ্টি হলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো না। বিভেদ শুধু স্বৈরাচারের সঙ্গে থাকবে। আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সঞ্চালনায় ও বেরোবি উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ২২টি শহীদ পরিবারের সদস্যরা। সম্মানিত অতিথি হিসেবে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীমউদ্দীন খান উপস্থিত ছিলেন।