মাথায় হেলমেট লাগিয়ে তাতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে রাস্তায় ঘুরছেন ভারতের ইন্দোর শহরের সতীশ চৌহান নামের এক বাসিন্দা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে ডাকা হচ্ছে “হেলমেট ম্যান” নামে।
সম্প্রতি সতীশ চৌহানের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে তিনি জানান, প্রতিবেশী বলিরাম চৌহান ও মুন্না চৌহানের সঙ্গে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি ও তার পরিবার।
তিনি জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে এতোটাই খারাপ যে, দুই প্রতিবেশী তার সম্পত্তি দখল করতে চান। এ নিয়ে প্রতিদিনই তাদের সঙ্গে ঝগড়া হচ্ছে। ফলে তিনি ও তার পরিবার নিজেদের জীবনের জন্য আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
সতীশ চৌহান জানান, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে বারবার ইন্দোরের হিরানগর থানায় গেলেও কোনো সাহায্য পাননি। পুলিশ তার অভিযোগ নেয়নি বা কোনো নিরাপত্তা দেয়নি।
তিনি বলেন, “আমি আমার এবং পরিবারের নিরাপত্তার জন্য বারবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু এতে কিছু না হওয়ায় আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি এখন থেকে যেখানে যাব, সব কিছু রেকর্ড করব।”
সতীশ চৌহান বলেন, “এই হেলমেট-ক্যামেরা কোনো নাটক নয়- এটা আমার ঢাল। আমার বা আমার পরিবারের যদি কিছু ঘটে, অন্তত ভিডিও প্রমাণ থাকবে”
সতীশ এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তাকে দেখা যাচ্ছে, তিনি একটি কালো হেলমেট পরে রাস্তায় হাঁটছেন। ওই হেলমেটে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো। এই দৃশ্য একদিকে যেমন হাস্যরস সৃষ্টি করেছে, তেমনি অন্যদিকে ক্ষোভেরও জন্ম দিয়েছে। কিন্তু এরকম অদ্ভুত কর্মকাণ্ডের পেছনে লুকিয়ে আছে গভীর নিরাপত্তাহীনতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতা।
এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে অনুরাগ দ্বারী নামে একজন এই ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, “প্রথম দেখায় এই দৃশ্য হাস্যকর মনে হতে পারে। কিন্তু শুনুন, ইন্দোরে এই মানুষটি আসলে বাধ্য হয়ে মাথায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে ঘুরছেন। কারণ প্রশাসন তাকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।”
পুলিশ কর্মকর্তারা অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিবেশী বলিরাম চৌহান ও মুন্না চৌহানের সঙ্গে সতীশ চৌহানের বিরোধ চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে তা শারীরিক সংঘর্ষেও রূপ নিয়েছে।
এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমরা দুই পক্ষের মধ্যে মীমাংসার চেষ্টা করেছি। মামলাটি পর্যালোচনাধীন, নতুন কোনো তথ্য এলে তা বিবেচনায় নেওয়া হবে।”