শিরোনাম
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রস্তুতির অভাব সবখানেই এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে লং মার্চ ডেকেছে একদল পরীক্ষার্থীরা দ্রুত নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করলে দেশের মানুষ শান্তি পাবে-আসাদুল হাবীব দুলু দুপুরের মধ্যে রংপুরসহ বেশ কিছু জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস নতুন আত্মঘাতী ড্রোন উন্মোচন করল ইরান আয়াতুল্লাহ খামেনিকে হত্যা করলেই যুদ্ধ শেষ হবে: নেতানিয়াহু ইরানের রাজধানীতে বিস্ফোরণ, সবাইকে তেহরান ছাড়তে বললেন ট্রাম্প ঠাকুরগাঁওয়ে পুশইন করা ভারতীয় দম্পতিকে ফেরত পাঠাল বিজিবি যুদ্ধের পরিধি বাড়াতে চায় না ইরান, তবে আক্রমণের জবাব দেবে: পেজেশকিয়ান ইরানের মিসাইল হামলায় ইসরায়েলি তেল পরিশোধনাগার বিধ্বস্ত, বহু হতাহতের আশঙ্কা
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন

হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারে ইরান

ডেস্ক রিপোর্ট / ১৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫

বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি রপ্তানি পথ হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিতে পারে ইরান। দেশটির এক আইনপ্রণেতার এমন মন্তব্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ইরান সত্যিই প্রণালিটি বন্ধ করলে বিশ্বজুড়ে তেলের দাম আকাশছোঁয়া হতে পারে।

ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের মধ্যে প্রভাবশালী আইনপ্রণেতা ইসমাইল কোসারি ইরানি বার্তা সংস্থা আইআরআইএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে শুধু জ্বালানির বাজারে অস্থিরতা নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যেই সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে। (খবর-আল-জাজিরার)

হরমুজ প্রণালি পারস্য উপসাগরে যাওয়ার একমাত্র সামুদ্রিক প্রবেশপথ। এর এক পাশে ইরান, অন্য পাশে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বের মোট জ্বালানি তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ এ পথ দিয়ে পরিবাহিত হয়। সংস্থাটি একে ‘বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তেল পরিবহন পথ’ বলে বর্ণনা করেছে।

এ প্রণালি পারস্য উপসাগরকে ওমান উপসাগর ও আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে। ভৌগোলিকভাবে বলতে গেলে, প্রণালিটি পারস্য উপসাগরকে সরাসরি ওমান উপসাগরের সঙ্গে যুক্ত করে এবং সেই পথ ধরে জাহাজগুলো আরব সাগরে তথা ভারত মহাসাগরে প্রবেশ করে।

প্রণালিটির সবচেয়ে সরু অংশ ৩৩ কিলোমিটার (২১ মাইল) চওড়া। তবে এর মধ্য দিয়ে জাহাজ চলাচলের পথটি আরও সরু, যা যে কোনো সময় হামলা বা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতির অধ্যাপক অ্যাড হার্স বলছেন, এই পথ দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৮ থেকে ২০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল যায়। সৌদি আরব, কুয়েত বা আশপাশের দেশের জন্য এর কোনো বাস্তবসম্মত বিকল্প রুট নেই।

হার্স সতর্ক করে বলেন, যদি প্রবাহ অর্ধেক কমেও যায়, বিশ্ববাজারে তেলের দাম এক লাফে ১২০ ডলার বা তার বেশি হয়ে যেতে পারে এবং এই প্রভাব হবে তাৎক্ষণিক ও বৈশ্বিক।

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলছে হামলা-পাল্টা হামলা। একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বাত ইয়াম, হাইফা ও গ্যালিলির মতো শহরগুলো। বিশ্লেষকদের মতে, এই মুহূর্তে শুধু সামরিক নয়, এক অর্থনৈতিক যুদ্ধও ঘনিয়ে আসছে। তেলের সরবরাহ বন্ধ হলে শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্ব ব্যবস্থা অস্থির হয়ে পড়বে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ