অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিজেই ‘দুর্বল’ও ‘অসহায়’ বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে এই বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। এমন অবস্থায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সমাবেশে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এ দাবি জানান। এরপর বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর।
গোপালগঞ্জের ঘটনার কথা উল্লেখ করে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শঙ্কিত নয়, উদ্বিগ্ন। হাজার হাজার ছাত্র-জনতার জীবন ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই নতুন বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতা ও সিদ্ধান্তহীনতায় মনে হয়, সরকারের সঙ্গে গোপন কোনো শক্তি কাজ করছে। গোপালগঞ্জের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে যে তিনি খুবই অসহায়।
জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘মিটফোর্ডের ঘটনা থেকেই গোপালগঞ্জের ঘটনার সাহস দেখিয়েছে পতিত আওয়ামী লীগের দোসরেরা। আমরা অনতিবিলম্বে “মিস্টার অসহায়” স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রত্যাহার করতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’
বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। এনসিপির সমাবেশে হামলার ঘটনায় প্রশাসন কী ভূমিকা রেখেছে, সে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, যেখানে এনসিপি সমাবেশ করার আগে প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছে, সেখানে প্রশাসন কী ভূমিকা রেখেছে? গণমাধ্যমে দেখা গেছে, যখন সমাবেশের মঞ্চ ভাঙচুর করা হয়, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির মো. নুরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি রেজাউল করিম প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি প্রতিবাদ মিছিল বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবন প্রদক্ষিণ করে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়।