পশ্চিম সুদানের প্রত্যন্ত মারারা পর্বতমালায় ভূমিধসে কমপক্ষে এক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে রোববার ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। ভূমিধসে ধ্বংস হয়ে গেছে তারাসিন গ্রাম। পুরো গ্রামে মাত্র একজন মানুষ বেঁচে আছেন। সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট/আর্মি এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছে। [খবর বিবিসির]
সংগঠনটির নেতা আবদেলওয়াহিদ মোহাম্মদ নূর জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশুরা রয়েছেন এবং তাদের মরদেহ উদ্ধারে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর জরুরি সহযোগিতা প্রয়োজন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ভূমিধসে গ্রামটি সম্পূর্ণভাবে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের মধ্যে যুদ্ধের পর উত্তর দারফুর রাজ্যের অনেক বাসিন্দা মারা পর্বতমালা অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ওই এলাকায় খাদ্য ও ওষুধের তীব্র সংকট বিরাজ করছে।
প্রায় দুই বছর ধরে চলমান এ গৃহযুদ্ধে সুদানের অর্ধেকের বেশি মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে। কোটি মানুষের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং উত্তর দারফুরের রাজধানী আল-ফাশির বর্তমানে গোলাবর্ষণের কবলে রয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধ দেশটিকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সেইসঙ্গে পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
গত বছর একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ২০২৩ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এক লাখ ৫০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।