শিরোনাম
মামলা দিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বৈষম্যবিরোধী নেতার বিরুদ্ধে কারাগারে থাকা খালাতো ভাইকে গাঁজা দিতে গিয়ে আটক এক যুবক আজকে একটি পক্ষ আবু সাঈদের রক্তের সাথে গাদ্দারি করছে : সাদেক কায়েম কাউনিয়ায় পলাশ মেম্বারের কাছ থেকে টাকা ছাড়া মিলে না ভিজিএফ-ভিজিডি কার্ডসহ সরকারি সেবা পঞ্চগড়ে রাস্তার অনিয়ম অস্বীকার; এলজিইডি কর্মকর্তাকে গণপিটুনি রাণীশংকৈলে সেনাবাহিনীর অভিযানে ২ চাঁদাবাজ গ্রেফতার  ফেসবুক লাইভে এসে ঘোষণা দিয়ে রাজনীতি ছাড়লেন বৈষম্যবিরোধী নেত্রী লিজা তারা অনেক বেশি ভোগ বিলাসে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন: সাদিক কায়েম যাদের অ্যানড্রয়েড ফোন কেনার সামর্থ্য ছিল না তাদের হাতে এখন আইফোন : উসমান হাদী কালীগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দোকান পুড়ে ছাই, বিপাকে ব্যবসায়ী পরিবার
রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:০১ পূর্বাহ্ন

সামান্য আগুন নিয়ে যাদের চিন্তা, তারা ৯ মাসে কতজনকে গ্রেপ্তার করেছে: প্রশ্ন সারজিসের

ডেস্ক রিপোর্ট / ৩৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ১ জুন, ২০২৫

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের রংপুরের বাসায় হামলা নিয়ে যারা চিন্তিত, গত ৯ মাসে তারা কতজন খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে তা জানতে চেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। রোববার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি প্রশ্ন তোলেন।

সারজিস তার পোস্টে লিখেছেন, ‘জিএম কাদেরের বাড়ির পুরানো বাইক আর সামান্য আগুন নিয়ে যাদের এত চিন্তা তারা বিগত নয় মাসে আওয়ামী সন্ত্রাসী খুনিদেরকে ধরতে কয়টা অভিযান চালিয়েছে? কতজনকে গ্রেফতার করেছে?’

গত ২৯ মে রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এসময় জিএম কাদের বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। এ ঘটনার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির নেতাকর্মীদের দায়ী করেছে জাতীয় পার্টি।

অন্যদিকে এনসিপির দাবি, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরাই তাদের ওপর হামলা করেছে। ২৯ মে লালমনিরহাটে এক জনসভায় সারজিস বলেন, ‘যারা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারকে সরকারকে উৎখাত করেছেন, তারাই তাদের জায়গা থেকে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জিএম কাদেরের বাসার সামনে বিক্ষোভ করেছেন। তবে আমরা যেটা দেখেছি সেখানে স্থানীয় জাতীয় পার্টির সন্ত্রাসীরা ফ্যাসিবাদ উৎখাতকারীদের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করেছেন।’

এদিকে জিএম কাদেরের বাড়িতে হামলার ঘটনায় শনিবার দিবাগত রাতে রংপুর মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি ও জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী দুই নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে—এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সারজিস। পরে তিনিও সেনা সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

বিষয়টি নিয়ে রোববার দিনভর আলোচনার মধ্যে সন্ধ্যায় ফেসবুকে নিজের অবস্থান জানিয়ে পোস্ট দেন সারজিস আলম। ‘রংপুর ও আওয়ামী লীগের বি টিম জাতীয় পার্টি ইস্যু’ নামের এ পোস্টে সারজিস লিখেছেন, ‘৩ দিন আগে রংপুরে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনীত অবৈধ নির্বাচনের একাধিকবারের অবৈধ মেয়র মোস্তফা আবার মেয়র পদে ফিরে আসার জন্য আওয়ামী লীগের পোষ্য বি টিম জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদেরকে সাথে নিয়ে রংপুর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।’

সারজিস লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ও ভারতের সাথে নেগোসিয়েশন করে সাময়িক বিরোধিতার ভান ধরে বিরোধী দলের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেছে জাতীয় পার্টি। এমনকি বিএনপি–জামায়াত যখন প্রহসনের অবৈধ নির্বাচন থেকে দূরে থেকেছে, হাজারো অন্যায়, জুলুম, অত্যাচার সহ্য করেছে, তখন এই জাতীয় পার্টি বিরোধী দল সেজে আওয়ামী লীগকে সরকারি দলের বৈধতা দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে! সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেছে।’

এনসিপির অন্যতম শীর্ষ এ নেতা আরও লেখেন, ‘২ দিন আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের রংপুরে গিয়ে আবার স্থানীয় জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরকে সাথে নিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা শুরু করেছে। অতঃপর যখন রংপুরের ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্য একসাথে জিএম কাদের ও জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে অহিংস বিক্ষোভ মিছিল করে তখন জাতীয় পার্টি সন্ত্রাসীরা সেই বিক্ষোভ মিছিলে প্রথম হামলা চালায়।’

এরপর জিএম কাদেরের বাড়িতে একটি বাইক পোড়ানোর ঘটনা দেখা যায় জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘এই বাইক পোড়ানোর মব বা ভ্যান্ডালিজমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রংপুরের সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্টদেরকে খুঁজতে নয় মাসের সর্বোচ্চ বড় অপারেশনের জন্য মাঠে নামে। মহানগর বিএনপির সভাপতি, সেক্রেটারি এবং জেলা ও মহানগরের বৈষম্যবিরোধীর আহ্বায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হতেই পারে এটা নিয়ে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু যে ঘটনাগুলোকে কেন্দ্র করে সর্বশেষ এই ঘটনা ঘটেছে সেই ঘটনাগুলোর কারণ কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে না খুঁজে সর্বশেষ বিষয় নিয়ে আদিখ্যেতা দেখানো শুরু হয়।’

সারজিস লিখেছেন, ‘জিএম কাদেরের বাড়ির পুরানো বাইক আর সামান্য আগুন নিয়ে যাদের এত চিন্তা তারা বিগত নয় মাসে আওয়ামী সন্ত্রাসী খুনিদেরকে ধরতে কয়টা অভিযান চালিয়েছে? কতজনকে গ্রেফতার করেছে? যে মোস্তফা একাধিক অবৈধ নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হয়ে তার পরিবারের সদস্য ও সাঙ্গপাঙ্গদের কে নিয়ে রংপুরে লুটপাট চালিয়েছে, কোটি টাকা দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছে, সিটি কর্পোরেশনকে ডাকাতির ক্ষেত্র বানিয়েছে সেই মেয়র মোস্তফাকে ধরতে কয়দিন অপারেশন চালানো হয়েছে? নয় মাসে রংপুরের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী দখলদারদের থেকে জনগণের ন্যায্য সম্পদ অর্থ উদ্ধারের জন্য কয়টি অভিযান চালানো হয়েছে?’

এনসিপির এ নেতা আরও লেখেন, ‘জাতীয় পার্টির যে সন্ত্রাসীরা অবৈধ মেয়র মোস্তফার নেতৃত্বে প্রথম ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্যের বিক্ষোভ মিছিলে হামলা চালিয়েছে, যে জিএম কাদের এলাকায় সন্ত্রাসীদেরকে নিয়ে বৈঠক করে পরিস্থিতিকে উসকে দিয়েছে তাদেরকে ধরতে কয়টি অভিযান চালানো হয়েছে? বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আমরা এখনো যথেষ্ট সম্মানের জায়গায় রাখি। কিন্তু ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে তাদেরও স্পষ্ট অবস্থান এবং কার্যক্রম আমরা দেখতে চাই। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের সন্ত্রাসীরা তাদেরই বি টিম জাতীয় পার্টি রূপে ফিরে আসার চেষ্টা করলে সেই চেষ্টাকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত করা হবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ