শিরোনাম
আ. লীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ছাড়িয়ে নিতে থানা ঘেরাও জঙ্গি সন্দেহে তুলে নিয়ে যাওয়া দুই খুবি শিক্ষার্থী মুক্তি পেলেন ৫ বছর পর কমিটি দিতে চাঁদা দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতার, ফাঁসের পর বললেন ‘মজা করেছি’ আপনারা বেনজির-ডিবি হারুন হইয়েন না : হাসনাত পাটগ্রামে ১৬ বছর বয়সী কিশোর নিখোঁজ, সন্ধানের জন্য পরিবারের আহ্বান গত ৬ মাসে গণপিটুনিতে নিহত ৬৭ জন, ধর্ষণের শিকার ৪৭৬ দিনাজপুর বোর্ডে এইচএসসির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষায় বহিষ্কার ৩, অনুপস্থিত ১৫৫৫ শেখ হাসিনা অপরাধ করেননি, উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন: আইনজীবী আমির হোসেন গাইবান্ধায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ড্রেজার জব্দসহ গ্রেপ্তার ৬ গোবিন্দগঞ্জে বাঁশঝাড় থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন

সাদুল্লাপুরে ধর্ষণ মামলা করে নিরাপত্তাহীন বাদীর পরিবার

স্থানীয় রিপোর্ট / ১৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জয়েনপুর গ্রামের নাইম মিয়া (১৯) নামের এক যুবক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই যুবক একাধিকবার ধর্ষণ করায় ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হলে তাকে গর্ভপাত ঘটনানো হয়েছে বলে ধর্ষিতা ও তার পরিবারের দাবি।

এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে এক মাসের অধিক সময়েও এ আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। যার কারণে আসামি ও তার বাবা শহিদ মিয়া গংরা বাদী পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় এই ধর্ষণের ঘটনাটি মিথ্যা প্রমাণিত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

গত ২৭ মে সাদুল্লাপুর থানায় দায়ের করা মামলার আসামি নাইম মিয়াকে এখন পর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারায় সম্প্রতি ওই তরুণীর মা গাইবান্ধা র‌্যাব সিপিসি-৩ ক্যাম্পে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এ মামলার এজাহার ও র‌্যাব ক্যাম্পের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের জয়েনপুর গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে নাইম মিয়া একই গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে প্রেম-ভালেবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলেন। তারপর মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করায় সে অন্তঃসত্ত্বা হয়। এরপর ঘটনাটি জানাজানি হলে ধর্ষক নাইম মিয়া ফের বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মেয়েটির গর্ভপাত ঘটায়।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করে ভিকটিমের বাবা-মা বলেন, আমরা অত্যন্ত দরিদ্র মানুষ। আমাদের মেয়েকে বিয়ে করার কথা বলে নাইম মিয়া বিভিন্ন সময়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা করা হয়। এরপর থেকে আসামি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে নাইমকে গ্রেফতার করছেন না। এছাড়া শহিদ মিয়া এই মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত করার জন্য গাইবান্ধার এক কথিত সাংবাদিককে কৌশলে আমার বাড়িতে পাঠায়। তখন ওই সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ব্যক্তি আমার পক্ষে মামলার বিচারকার্য চালানোর জন্য আমাদের মিথ্যা প্রলোভেন দিয়ে পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছে। এরপর আমাদের মেয়ের কাছে মিথ্যা একটি ভিডিও বক্তব্য নিয়েছে। এ বক্তব্যের কোনো ভিত্তি নেই।

ভিকটিমের বাবা-মা আরও বলেন, থানা পুলিশ কর্তৃক আসামি নাইমকে গ্রেফতার না করায় তার পিতা শহিদ মিয়া গংরা আমাদের মামলা তুলে নেওয়াসহ মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। একইসাথে ধর্ষিতার নানাকে তারা মারধর করেছে। আর মারধরের এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। কোথাও বিচার না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে গাইবান্ধা র‌্যাব ক্যম্পে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ