শিরোনাম
মসজিদের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে বিএনপি নেতাকে শোকজ থানায় ঢুকে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তাকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে চাকরি না থাকার কারনে আমাকে ছাড়তে চায় সানাই- স্বামী মূসা হাসিনার ফ্যাসিবাদের বৈধতা দিয়েছে শাহবাগীরা: সাদিক কায়েম জুলাই যোদ্ধাদের চিকিৎসায় ৯৭ কোটি টাকা ব্যয়, আজীবন মাসিক ভাতা নিশ্চিত আ.লীগ কর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণ: মেজর সাদিকের স্ত্রী আটক নারীসহ আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়লেন রমেক চিকিৎসক মারুফুল হাসান;’ চিকিৎসকের বাসায় নারী, দুজনকে পুলিশে দিল স্থানীয়রা রংপুরের গঙ্গাচড়ায় একটি অবৈধ বালু উত্তোলনস্থলের খননকৃত গর্ত থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার সংস্কারের নামে নির্বাচনকে বিলম্বিত করা যাবেনা- রংপুরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের একান্ত বৈঠক
বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন

সাদিক এগ্রো’র ভাইরাল ছাগলটি খামারেই আছে, বিলানো হবে দরিদ্রদের

ডেস্ক রিপোর্ট / ৭৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫

বিক্রেতা কারাগারে, ক্রেতা লোকচক্ষুর আড়ালে, ক্রেতার মা-বাবা কারাগারে, ভাই-বোন মামলার আসামি। একটি ছাগল ঘিরে এত কিছু ঘটে গেল, কিন্তু সেই ছাগল রয়েছে ছাগলের জায়গায়।

বলছি মতিউরের সেই ছাগলের কথা। বাদামি গায়ে ছোপ ছোপ দাগ, আকারে বেশ বড়। ২০২৪ সালে পবিত্র ঈদুল আজহায় সবচেয়ে আলোচিত ছিল এই ছাগল।

গত কোরবানির ঈদে ১৫ লাখ টাকা দাম হাঁকানো এক ছাগল নিয়ে জল গড়িয়েছে অনেক। মোহাম্মদপুরের আলোচিত খামার ‘সাদিক এগ্রো’র এই ছাগল কিনতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক তরুণ।

মতিউরের ছেলে মুশফিকুর ছাগলটির সঙ্গে একটি সেলফি তুলে ফেসবুকে দেন। সে-ই শুরু। নেটিজেন ও পরে সাংবাদিকেরা বের করে ফেলেন, এই ছাগলের ক্রেতা এনবিআরের একজন কর্মকর্তার ছেলে। একজন সরকারি কর্মকর্তার ছেলে কীভাবে এত দাম দিয়ে একটি ছাগল কেনেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মতিউর দাবি করেন, ছাগলের ক্রেতা তাঁর ছেলে নন। পরে অবশ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, মতিউরের আরেক স্ত্রী আছেন। সেই ঘরের সন্তান ছাগলের ক্রেতা মুশফিকুর।

ছাগল-কাণ্ডের পর মতিউর এনবিআর থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। অবশ্য সবকিছু সেখানে শেষ হয়ে যায়নি। বেরিয়ে আসতে থাকে নানা কেলেঙ্কারির তথ্য। চাপের মুখে ২০২৪ সালের ৩ জুলাই সাদিক অ্যাগ্রোতে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দেশে আমদানি-নিষিদ্ধ ব্রাহামা জাতের পাঁচটি গরু উদ্ধার করা হয়। পরে মামলা দেওয়া হয় সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ও খামারমালিক সমিতির সভাপতি ইমরানের বিরুদ্ধে।

এদিকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। গত জানুয়ারিতে দুদক অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মতিউর ও তাঁর প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, তাঁদের ছেলে তৌফিকুর রহমান ও মেয়ে ফারজানা রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে। ১৫ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন মতিউর ও তাঁর স্ত্রী লায়লা।

ছাগলটি এখন কোথায়?

মুশফিকুর সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ছাগলটি কিনলেও তা শেষ পর্যন্ত নেননি। সেটি রয়ে যায় সাদিক অ্যাগ্রোর মোহাম্মদপুরের খামারে। খামারটি ‘অবৈধ’ভাবে সরকারি জমিতে গড়ে তোলা হয়েছিল জানিয়ে ২০২৪ সালের জুনে তার বড় অংশ ভেঙে দেয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

সাদিক অ্যাগ্রো সূত্র জানায়, পরে তারা অন্যান্য গরু-ছাগলের সঙ্গে আলোচিত ছাগলটিও সরিয়ে সাভারে নিজেদের আরেক খামারে নেয়। এখনো ছাগলটি সেই খামারে আছে। গতকাল সাদিক অ্যাগ্রোর একজন কর্মকর্তা বলেন, ছাগলটি তাঁদের কাছেই আছে। বিক্রি না করে তাঁরা এটি দরিদ্রদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার চিন্তা করছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ