মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১১:৫২ অপরাহ্ন

সরকারি অনুদানের নামে লাখ টাকা আত্মসাতের পর সমন্বয়ক বললেন ‘ভুল হয়েছে’

ডেস্ক রিপোর্ট / ১৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫

গাজীপুরের কালীগঞ্জে সমন্বয়ক ও তার বাবা পরিচয়ে সরকারি ঘর ও পানির পাম্প দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে লাখ টাকার বেশি অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে মো. রাকিব নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

তবে বিষয়টি জানাজানির পর অভিযুক্ত যুবক বললেন, ঘর ও পানির পাম্প দেওয়ার কথা বলে ৮ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি। কাজ হয়নি, টাকা ফেরত দিব। আমার ভুল হয়েছে। এই ঘটনায় সবশেষ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে থানায় অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন। তিনি জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার দুপুরে চারজন ভুক্তভোগী যৌথভাবে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযুক্তরা হলেন-মো. রাকিব চৌধুরী (২৬) ও তার বাবা আলাউদ্দিন চৌধুরী (৬৫)।

ভুক্তভোগীরা হলেন, ওই এলাকার সাফির উদ্দিন শেখ (৬০), মো. সারোয়ার (৩০), মোসা. সালেহা বেগম (৩৫) এবং বক্তারপুর ইউনিয়নের ফুলদী গ্রামের মো. হোসেন মিয়া (৩৬)।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারির শেষের দিকে রাকিব নিজেকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে সরকারি ঘর ও পানির পাম্প দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এ প্রলোভনে পড়ে সাফির উদ্দিন ৪১ হাজার টাকা, সারোয়ার ১১ হাজার টাকা, সালেহা ও হোসেন মিয়া ৪৫ হাজার টাকা করে মোট ৯০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও ঘর কিংবা পানির পাম্প কেউ পাননি। টাকা ফেরত চাইলে রাকিব তাদের ভয়ভীতি দেখান এবং মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে জেল খাটানোর হুমকি দেন।

অভিযুক্ত রাকিব চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি ঘর ও পানির পাম্প দেওয়ার কথা বলে আটজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি। কাজ হয়নি। ভুল করেছি। টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তবে এসব বিষয়ে আমার বাবা কিছুই জানেন না।

এ বিষয়ে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ গাজীপুর জেলা কমিটির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, আমাদের সংগঠনের সঙ্গে রাকিবের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সে নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করলেও এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

কালীগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হাবীবুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়ে ওসি স্যারের নির্দেশে অভিযুক্ত রাকিবের বাড়িতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে না পেয়ে ফোনে যোগাযোগ করা হলে সে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে দ্রুত টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাকে সময় দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত না দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ বলেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। অভিযোগের সত্যতা মিললে প্রতারকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ