মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন

সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা পরিকল্পিত, ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য জরুরি: বিশ্লেষক মত

ডেস্ক রিপোর্ট / ২৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫

নগরজুড়ে আন্দোলনে কে নেই? রাজনৈতিক, পেশাজীবী কিংবা শিক্ষার্থী। বিভক্তিরেখা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোতে। কোনটা আগে, নির্বাচন নাকি সংস্কার? এ নিয়ে স্পষ্টই বিপরীতমুখী অবস্থানে ফ্যাসিবাদবিরোধী পক্ষগুলো।

সরকারের কয়েক উপদেষ্টা আর রাজনৈতিক দলগুলোর লাগামহীন বক্তব্যে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করেছে। এর মধ্যে আলোচনায় খোদ প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ ইস্যু। অভ্যুত্থানের বছর না ঘুরতেই এমন অবস্থা কেন?

চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক ঐক্য জরুরি। আর এটি হতে পারে সরকারের নির্বাচনমুখী সুস্পষ্ট পদক্ষেপ, এমন মত দিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতির যে জটিলতা বা সংকট, এটা তৈরি হওয়ার পেছনে সরকারের ভূমিকাই মূখ্য। সরকার সংস্কারের দিকে না গিয়ে দেখা গেলো যে বিদেশি কোম্পানি এনে চট্টগ্রাম বন্দর দিতে হবে, করিডর দিতে হবে, স্টারলিংকের সাথে চুক্তি করতে হবে, এলএনজি আমদানি করতে হবে। মানে যেগুলো তার করার কথা না। যেটার একটা দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব আছে।

তবে এমন পরিস্থিতি হুট করেই নয়, পরিকল্পিত বলে মনে করেন আরেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ। তিনি বলেন, এই অনৈক্যের পেছনে কলকাঠি নাড়ছে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতীয় আধিপত্যবাদ। যারা চাচ্ছে কোনও না কোনও একটা গোলযোগপূর্ণ পরিস্থিতি দেখিয়ে, দেশ শাসনে অপরাগত দেখিয়ে এইখানে আবার সেই পতিত ফ্যাসিবাদীদেরকে নিয়ে আসা।

লক্ষ্যপূরণে সরকারের যেমন অবস্থান স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন, তেমনি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও ঐক্য জরুরি, তা না হলে ফায়দা নেবে তৃতীয় পক্ষ, বলছেন বিশ্লেষকরা।

অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেছেন, এই দলগুলোর প্রতিনিধি হিসেবেই তো বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আছে। কাজেই সরকারকে একদিকে যেমন সকলের কথা শুনতে হবে, অন্যদিকে আবার একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকতে হবে।

অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, এই মুহূর্তে যদি প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করেন তাহলে এটি জাতির জন্য বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে। দেশের জন্য ভয়ঙ্কর সমস্যা সৃষ্টি করবে এবং সেই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার মতো অবস্থা দেশের নাই।

বিচার, সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে সংকট কেটে যাবে মনে করেন তারা।

অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, মতাদর্শী রাজনৈতিক অনৈক্য দূর করা যাবে না । কিন্তু বর্তমানে যে সংস্কারগুলো করা জরুরি একটা ভালো নির্বাচন করার জন্য, সেইটার ব্যাপারে একটা ঐকমত্য তৈরি হতে পারে।

অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেছেন, একপক্ষ চাচ্ছে নির্বাচন, আরেকপক্ষ চাচ্ছে সংস্কার। যেমন, একটা পক্ষ সংস্কার চায় না; আরেকটা পক্ষ খালি সংস্কার চায়, নির্বাচন চায় না। এইভাবে যদি প্রশ্ন করা হয়, তাহলে জাতিকে আরও বিভক্ত করা হয়।

সবপক্ষকে গুজব ও একে অন্যের প্রতি আক্রমণাত্মক মনোভাব পরিহার করার পরামর্শ এ দুই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ