রাজধানীর গুলশান এলাকায় আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজি করার অভিযোগে আটক হয়েছেন পাঁচজন। আজ শনিবার রাত ৮টার দিকে তাঁদের গুলশান এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। এই পাঁচজন হলেন মো. রিয়াদ, মো. সিয়াম, মো. সাদাফ, মো. ইব্রাহীম ও মো. আমিনুল। এ ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে দেশজুড়ে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে সমালোচনা। এদিকে চাঁদাবাজির ঘটনায় কথা বলেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম নয়ন। তিনি জানান, ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা চাঁদাবাজি করে বিএনপির ওপর দায় চাপিয়ে দিতে চায়। রবিবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলে এসব কথা বলেন এ যুবনেতা।
তিনি বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বাসায় বাসায় গিয়ে চাঁদাবাজি করছেন, এটা নতুন কিছু নেই। এটা একটু গ্রুপ যারা সারা বাংলাদেশে চাঁদাবাজি করে, দখলদারি করে এবং সেটাকে বিএনপির ওপর দায়ভার চাপিয়ে দিতে চায় বিভিন্ন সময়।’
চাঁদাবাজদের পৃষ্ঠপোষকতায় সরকার নীরব রয়েছে জানিয়ে এ যুবনেতা বলেন, ‘আপনারা পুরান ঢাকার একটি ঘটনা দেখেছেন। যেটি ব্যাবসায়িক দ্বন্দের মধ্য দিয়ে ঘটেছে।
সেটাকে বিএনপির নাম দিয়ে বাংলাদেশে একটা মব সৃষ্টি করে বিএনপির ইমেজ ক্ষুণ্ন করার জন্য ষরযন্ত্র করা হয়েছে, চেষ্টা করা হয়েছে। আপনারা জানেন একটি মিথ্যা ঘটনাকে সামনে এনে বিএনপিকে দায় চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ রকম গুলশানের মতো একটা সোসাইটিতে বাসার ভেতরে গিয়ে চাঁদাবাজি করছে, সেটা নিয়ে কিন্তু অন্য কোনো দল কখনোই কথা বলছে না। তার মানে এই চাঁদাবাজদের পৃষ্ঠপোষকতায় সরকার নীরব রয়েছে বলে আমরা মনে করছি।’
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই গুলশানে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক কমিটির দুই নেতা রিয়াদ, অপুসহ কয়েকজন।
সেদিন বাসায় ছিলেন শাম্মী আহমেদের স্বামী। তাঁকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন রিয়াদ, অপুসহ অন্যরা। পরে শাম্মী আহমেদের স্বামী ১০ লাখ টাকা চাঁদাও দেন। গতকাল রাত ৮টার দিকে চাঁদার বাকি টাকা আনতে যান তাঁরা। পুলিশ আগে থেকে এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের আটক করে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।