মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন

সমকামিতার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক চাকরিচ্যুত

ডেস্ক রিপোর্ট / ২৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সমকামিতা, যৌন হয়রানি ও শিক্ষার্থীদের হেনস্তার অভিযোগ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

অফিস আদেশে বলা হয়, হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পর্যালোচনা করে গত ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৬তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলাবিধির ধারা ৪ (আই) (বি) ও ধারা ৫ ধারা অনুযায়ী তার বাৎসরিক একটি ইনক্রিমেন্ট বাতিল করা হয় ও তাকে সিন্ডিকেট সভার তারিখ থেকে এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হয়।

সেই সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানালে তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৭তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিষয়টি পুনরায় ব্যাপক তদন্তের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশে গত ৩১ মে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৮তম (সাধারণ) সভার ৭ নম্বর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী তদন্তের আলোকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও শৃঙ্খলার স্বার্থে তার এসব কর্মকাণ্ড ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির পরিপন্থী। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলাবিধির ৪(১) (এফ) ধারা মোতাবেক তাকে ৩১ মেথেকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো।

এর আগে হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সমকামিতায় বাধ্য করা, শিক্ষার্থীদের হেনস্তা ও যৌন হয়রানিসহ নানা অভিযোগ উঠলে গত বছরের ৮ অক্টোবর তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। ওই কমিটি জানায়, হাফিজের বিরুদ্ধে সমকামিতা, যৌন হয়রানি, শিক্ষার্থী হেনস্তাসহ নানা অভিযোগ দেন শিক্ষার্থীরা।

তদন্তে সেসব অভিযোগের অনেকাংশেই সত্যতা মেলে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা মিললে গত বছরের ২৩ অক্টোবর তাকে বিভাগীয় সব রকম কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।.

২০২৩ বছরের ৭ অক্টোবর বিভিন্ন অভিযোগ তুলে শিক্ষক হাফিজুল ইসলামের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ করে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীরা লিখিতভাবে উপাচার্যের কাছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অন্তত ২৭টি অভিযোগ তুলে ধরেন এবং মৌখিকভাবে আরো বিভিন্ন অভিযোগ ও ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তাকে অপসারণের দাবি জানান।

ওই শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিতে কয়েক দফায় আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ