শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার এবং শিক্ষাসচিব সিদ্দিক জোবায়েরের পদত্যাগসহ বেশকিছু দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তারা সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন। সচিবালয়ের ভেতর থেকে শিক্ষার্থীদের বের করতে লাঠিচার্জ করেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর।
শিক্ষার্থীরা যেন সচিবালয়ে ঢুকতে না পাড়েন, সেজন্য সচিবালয়ে প্রবেশের সবগুলো গেট বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদারে সেনা সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। শিক্ষার্থীরা সেসব উপেক্ষা করেই ভেতরে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পরে। তবে, তারা পুলিশের কাছ থেকে কোনো বাধার মুখে পরেনি।
শিক্ষার্থীরা ভেতরে ঢুকে পড়ার কিছু সময় পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্জ করে তাদের বের করে দেন। এ সময় অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হন।
শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নিয়েছিল। এরই মধ্যে হাইকোর্ট থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সচিবালয়ের পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়কটি বন্ধ আছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ, আইডিয়াল কলেজসহ ধানমন্ডি এলাকার পাঁচটি কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষাসচিবের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থী সুদীপ্ত প্রত্যয় সেন বলেন, ‘আমরা এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছি। গতকাল মাইলস্টোন কলেজে একটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের দাবি ছিল, অন্তত মরদেহের সঠিক হিসাবটা যেন দেওয়া হয়। গতকাল কারো ভাই মারা গেছে, কারো বোন মারা গেছে, এক পরীক্ষার্থীর মা মারা গেছেন। এজন্য আমরা চেয়েছিলাম, অন্তত আজকের পরীক্ষা যেন স্থগিত করা হয়। অথচ আমাদের সেই দাবি তারা প্রথমে মানেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে যখন বিষয়টি নেট দুনিয়ায় উত্তাল হয়, তখন রাত ৩টার দিতে তারা ঘোষণা দেন—আজকের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত। আমাদের কথা হলো, তারা সিদ্ধান্তটা আগে নিলেন না কেন। কোন হিসেবে রাত ৩টার দিকে সেটা জানালেন।’