ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের ফলাফল সবাই প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু বিএনপি সংসদে গিয়ে সেই নির্বাচনকে বৈধতা দিয়েছে।
সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজশাহীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দলের রাজশাহী মহানগর সভাপতি মাওলানা হোসাইন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) মুফতি শেখ মুহাম্মদ নুরুন নবী, রাজশাহী জেলার সভাপতি মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী।
সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘বিএনপি আজকে আমাদের বলে আওয়ামী লীগের দালাল। আমরা নাকি আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছি। রাজনীতি করবেন, জেনেশুনে রাজনীতি করেন।’
তিনি বলেন, আমরা আজ পর্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ কোনো জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন অংশগ্রহণ করেনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করেছে। এ কারণে আমরাও অংশ নিয়েছি। তবে কখনো গণভবনে যায়নি। তখন কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পর্যন্ত গণভবনে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনার কাছে।
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে সবাই। কিন্তু বিএনপি অবৈধ সংসদে গিয়ে ২০২২ সাল পর্যন্ত ছিল। সেই সংসদকে তারা বৈধ ঘোষণা দিয়েছে। অবৈধ সংসদে বিএনপির পাঁচ-ছয়জন সদস্য গিয়ে পুরা নির্বাচনটাকে বৈধ ঘোষণা করছে। তারা আওয়ামী লীগের দালাল না। আর আমরা আওয়ামী লীগের দালাল!’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত দিনে বিএনপি ভোট পেয়েছে। আগামীতেও ভোট পাবে, সেই চিন্তায় আছে তারা। কেন মানুষ ভোট দিবে তাদের। পাটগ্রাম থানায় পুলিশদের মারার জন্য। থানা লুট করার জন্য, থানা ভাঙচুর করার জন্য আপনাদেরকে ভোট দিবে? এই পর্যন্ত ১৫০-এর উপরে খুন হয়ে গেছে। বিএনপির নিজেরা নিজেরা মারামারি করতে করতে বহুত লোক পঙ্গু হয়ে গেছে। এখনো ক্ষমতায় যায় নাই। তাতেই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে ক্ষমতায় গেলে অবস্থাটা কী হবে। এ দেশের মানুষ এখন সেই মানুষ আর নাই। মানুষ সচেতন হয়েছে। মানুষের চক্ষু খুলছে। এমন কোনো জায়গা নাই, যেখানে চাঁদা তোলে না বিএনপি।’