রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘আমরা জঙ্গি নির্মূলে বদ্ধ পরিকর। তবে শেখ হাসিনার সাজানো নাটকের জঙ্গিদের নিয়ে এখন পুনরায় ভাবার সময় এসেছে। আমার কাছে যখন জঙ্গিদের তালিকা উপস্থাপন করা হয়েছে তখন বিভিন্ন সংস্থাকে প্রথম প্রশ্ন করেছি, কবে কারা তালিকা করেছে। তারা বলেছেন “১৩/১৪ সালে করেছি।” আমি বলেছি এই তালিকা নতুন করে চেক করেন।”
আজ বুধবার ঝিনাইদহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যোদ্ধাদের সম্মাননা জানানো অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেল এসব কথা বলেন। জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্ক মিলনায়তনে জুলাই যোদ্ধা পরিবারের আয়োজনে এ অনুষ্ঠান হয়। এ সময় জুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহত ঝিনাইদহের গেজেটভুক্ত ১৩৯ জনকে আর্থিকসহায়তা ও সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আসাদুজ্জামান বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের চাল-চলন, কথা-বার্তায় এমন কোনো আচরণ করবেন না যাতে করে আপনাদের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়। আপনাদের মধ্যে কোনো বৈষম্য আনে, এমন কোনো পরিবেশ তৈরি করতে দেবেন না, যে পরিবেশ জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ধূলিসাৎ করার জন্য ভূমিকা রাখতে পারে।’
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে লুটপাট, দখলদারির সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছিল সেই পথে আপনারা যদি কেউ হাঁটেন, সেই পথ কিন্তু অন্ধকার পথ। সে পথে হারিয়ে যাবেন, যেমন হারিয়ে গেছেন এখানের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ক্ষমতার লোভে এমন কোনো অকাজ ছিল না যে তারা করত না।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব রিফাত রশিদ। তিনি গণমাধ্যমগুলোর মালিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘যারা এখনো মিডিয়া হাউসে বসে শেখ হাসিনাকে দেশে আনার কলকাঠি নাড়ছে, তাদের অবিলম্বে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দিন।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ, জেলা জামায়াতের আমীর আলী আজম মোহাম্মদ আবু বকর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক আবু হুরাইরা, সদস্যসচিব সাইদুর রহমান প্রমুখ।