ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় লোহিত সাগরে একটি বাল্ক কার্গো জাহাজে হামলা চালিয়ে এটি ডু্বিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি।
যুক্তরাজ্যের ইউকে মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস (ইউকেএমটিও) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রোববার (০৬ জুলাই) ইয়েমেনের হুথি-নিয়ন্ত্রিত হোদেইদা শহর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী ‘ম্যাজিক সীজ’ নামে জাহাজে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার পরপরই জাহাজটিতে আগুনে ধরে যায় এবং পানি ঢুকতে শুরু করে। বতে শিগগিরই জাহাজটি ডুবে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে হুথির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেন, রোববার জাহাজটিতে দুটি ড্রোনবোট (চালকবিহীন নৌকা), পাঁচটি ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং তিনটি ড্রোন হামলা চালানো হয়, যা সরাসরি জাহাজে আঘাত করে। বিস্ফোরণের ফলে জাহাজের নিচের অংশে মারাত্বক ক্ষতি হয় এবং পানি ঢুকতে শুরু করে। এটি এখন ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে আমাদের বাহিনী জাহাজের ক্রুদের নিরাপদে সরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।’
হুথি মুখপাত্র বলেন, ম্যাজিক সীস এবং এর সহযোগী কোম্পানি অধিকৃত ফিলিস্তিনি (ইসরায়েলি) বন্দরে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা বেশকয়েকবার লঙ্ঘন করেছে। তবে তিনি জাহাজের মালিক বা অপারেটরের নাম উল্লেখ করেননি।
সারি আরও বলেন, জাহাজে বেশ কয়েকটি সতর্কবার্তা পাঠানোর পর এই হামলা চালানো হয়েছিল, তবে ক্রুরা সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেছিল।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, হামলার সময় গ্রীক মালিকানাধীন জাহাজটিতে ২২ জন ক্রু ছিলেন। জাহাজটিতে আগুনে ধরে যাওয়ার পরপরই তারা জাহাজটি ছেড়ে পালিয়ে যান এবং পরে তাদের নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে এটি ডুবে যাবে।
এরআগে রোববার প্রায় এক মাস বিরতির পর ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত তিনটি বন্দর ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, হুদাইদা প্রদেশের হোসেইন, রাস ইসা ও সালিফ বন্দর এবং রাস কান্তিব বিদ্যুৎকেন্দ্রে আঘাত হানা হয়েছে। হুতি বিদ্রোহীদের দফায় দফায় চালানো আক্রমণের জবাবে তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী আরও জানায়, তারা রাস ইসা বন্দরে ‘গ্যালাক্সি লিডার’ নামের একটি জাহাজেও হামলা চালিয়েছে। ২০২৩ সালের শেষের দিকে হুতিরা এই বাণিজ্যিক জাহাজটি জব্দ করেছিল।