লুকিয়ে রুমমেটদের ছবি নেয়া, ভিডিও করাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শেখ সায়েরা খাতুন ছাত্রী হলের এক নারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এরপর তাকে কান ধরে উঠবস করিয়ে হল থেকে বের করে দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওই শিক্ষার্থীর অত্যাচারে কোনো রুমমেট থাকতে পারতো না। চুরি থেকে শুরু করে আরো নানারকম মানসিক অত্যাচার করতেন রুমমেটদের উপর। এর আগের হল সুপারদের কাছেও তার নামে বিচার দেয়া হয়েছিলো। উনারা কোনো পদক্ষেপ নেন নাই বরং আমাদের মানিয়ে নিতে বলেছিলেন। দীর্ঘদিন থেকে তার সব রুমমেটরা তাকে সন্দেহ করতো যে সে লুকিয়ে ফোন টেপা ও ভিডিও কলের বাহানায় ফোনে তাদের ছবি/ভিডিও নেয়।
সন্দেহের জেরে অভিযুক্তের বর্তমান রুমমেটরা তার ফোন চেক করলে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের গ্যালারিতে লুকিয়ে তুলা তাদের ছবি পায়। পরবর্তীতে মেয়েরা হল সুপার সহ প্রক্টরকে জানালে হল প্রশাসন অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেয় এবং তার ফোন জব্দ করে।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা বলেন, ‘হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সেখানে যায়। শিক্ষার্থীরা যেসব অভিযোগ করেছে, তার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাকে হল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। অধিক তদন্তের জন্য তার ফোন প্রশাসনের কাছে জব্দ রয়েছে।’
শেখ সায়েরা খাতুন হলের হল সুপার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের চাওয়া ও প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব আগেই শেষ হয়েছে, সার্টিফিকেটও সে তুলে নিয়েছে আগেই। সে আমাদের কাছে মিথ্যা বলে হলে অবস্থান করছিল। আমরা তার বাবার সাথে কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’