লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির সঙ্গে নামের মিল থাকায় উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক খন্দকার নূরনবী কাজলকে পুলিশ দিয়ে ধরে নিয়ে এসে থানায় রাতভর আটক করে রাখার অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে।
বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার পশ্চিম বেজগ্রাম এলাকার নিজ বাড়ি থেকে কাজলকে আটক করে পুলিশ।
পরদিন সকালে খবর পেয়ে হাতীবান্ধা থানায় ঘেরাও করেন নেতা-কর্মীরা। এ সময় ওসির অপসরণ দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তারা। পরবর্তীতে তোপের মুখে সকালে ওই নেতাকে ছেড়ে দেয় ওসি।
জানা গেছে, কাজল নামে এক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নামের সঙ্গে মিল থাকায় হাতীবান্ধা উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক খন্দকার নূরনবী কাজলকে বুধবার দিবাগত রাত দুইটার সময় নিজ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসে পুলিশ। এরপর রাতভর তাকে থানায় আটকে রাখে ওসি। পরে সকালে খবর পেয়ে হাতীবান্ধা থানায় ঘেরাও করেন নেতা-কর্মীরা। এ সময় ওসির অপসরণ দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক খন্দকার নূরনবী কাজল বলেন, আমি বার বার বলছি আমার নামে কোন মামলা নাই। এরপরেও তারা আমাকে ধরে নিয়ে এসে থানার জেল হাজতে রাতভর আটক করে রাখে। ওসি এর আগেই মিথ্যা মামলায় অনেক মানুষকে হয়রানি করেছেন এ নিয়ে আমরা প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করি। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওসি আমাকে ধরে নিয়ে এসেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই আর ওসির অপসরণ চাই।
এ বিষয়ে কাজলের স্ত্রী নাসরিন ফারহানা বলেন, আমার স্বামীকে ইচ্ছা করে ওসি ধরে নিয়ে এসে থানায় রাতভর আটক করে রাখে। এ নিয়ে আমি কথা বললে ওসি আমার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করেন। আমাকে বলেন ওই আসামিকে ধরে নিয়ে আসেন তারপর আপনার স্বামীকে ছাড়া হবে। আমি এই ওসির বিচার চাই ও তার অপসারণ চাই।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদুন নবী বলেন, নামের সঙ্গে মিল থাকায় ভুলবশত সেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে ধরে আনা হয়েছিলো পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।