শিরোনাম
ডিআইজির কাছে রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের স্মারকলিপি গোবিন্দগঞ্জে সরকারি ১শ’১৯ বস্তা চালসহ বিএনপি নেতা সাবু গ্রেপ্তার রংপুরে শিশুদের ঝগড়া ঘিরে উত্তেজনা, বসতবাড়ি ভাঙচুর ও দুজনকে কুপিয়ে জখম চাঁদা না পেয়ে কাজে বাঁধা : চেয়ারম্যান-বিএনপি নেতার সঙ্গেও উচ্চবাচ্য বিএনপির ওয়ার্ড নেতার  খালেদা জিয়া ভালো আছেন, জাতির প্রয়োজনে নেতৃত্বও দেবেন: ডা. জাহিদ হিলিতে বিচার দাবীতে এলাকাবাসী মানববন্ধন,বিক্ষোভ  অনুষ্ঠিত  খালেদা জিয়ার ভাগনে তুহিনকে মুক্তি না দিলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন সাইবার আইন কার্যকর: আসিফ নজরুল খালেদা জিয়া দেশে ফেরায় ‘আনন্দিত’ জিএম কাদের, বললেন প্রত্যাশার কথা ঈদুল আজহায় ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ০২:৪০ পূর্বাহ্ন

রোজা শুরুর আগেই বাজারে আগুন, সংকট ভোজ্য তেলেও

ডেস্ক নিউজ / ৩৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫

আজ চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল থেকে দেশে পবিত্র মাহে রমজান শুরু। এই মাসকে কেন্দ্র করে এরইমধ্যে চলছে প্রস্তুতি। তারই অংশ হিসেবে চলছে মানুষের শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। তবে অভিযোগ সেই পুরনো, দামে ‘আগুন ভাব’। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভোজ্য তেলের সংকট।

শনিবার (১ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় দুই মাস ধরে সরবরাহ সংকটে থাকা সয়াবিন তেলের বাজার এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এর সঙ্গে বেড়েছে গরুর মাংস, মুরগি, শসা, লেবু ও বেগুনের দাম।

এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১২০ টাকায়। যা দেড় সপ্তাহ আগেও ছিল ২০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে।

রোজায় ইফতারির অন্যতম উপকরণ হলো শসা। হাইব্রিড শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও দেশি শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি। এছাড়া প্রতি কেজি বেগুন ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, চাহিদা বাড়ায় দৌঁড়াতে শুরু করেছে মুরগি, গরুর মাংস ও মাছের দাম। বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা থেকে ২১০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা থেকে ৩১০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি।

মাছও কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বাড়তি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। অভিযোগ আছে ধনে পাতা নিয়েও। তবে বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে খেজুর, চিনি, ছোলা, চিড়া, মুড়ি, গুড় প্রভৃতি পণ্যের দাম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, গত অক্টোবর থেকে জানুয়ারি এই চার মাসে চিনি আমদানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩৪ মেট্রিক টন। এই সময়ে ডালজাতীয় পণ্যের আমদানি ৪৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩৭ মেট্রিক টন। আর ছোলা আমদানি হয়েছে ৯৭ হাজার ৫৫৫ মেট্রিক টন। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ শতাংশ বেশি।

উল্লিখিত সময়ে সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ বেড়ে মটর ডালের আমদানি হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৮৪৫ মেট্রিক টন। এ ছাড়া পেঁয়াজ আমদানি ২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ মেট্রিক টন। রসুনের আমদানিও বেড়েছে ২০ শতাংশ। গত অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত পণ্যটি আমদানি হয়েছে ৬১ হাজার ৩৮১ মেট্রিক টন।

এর বাইরে আদার আমদানি ৫৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫২ হাজার ৫১৫ মেট্রিক টন। ফলে কোনো পণ্যেরই সংকট নেই। দামও রয়েছে স্থিতিশীল।

ভোজ্য তেলের সংকট কেন জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা জানান, কোম্পানির ডিলাররা পর্যাপ্ত তেল সরবরাহ করছে না। শুধু তা-ই নয়, বোতলজাত সয়াবিনের সঙ্গে নানা পণ্য নেওয়ার শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন। এ কারণেই এই অবস্থা।

লেবুর মূল্যবৃদ্ধির কারণ নিয়েও কথা হয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। তারা বলেন, এখন লেবুর মৌসুম নয়। তাই দাম বাড়তি থাকা স্বাভাবিক। তবে যতটা বেড়েছে, তা স্বাভাবিক নয়।

তবে কিছু ব্যবসায়ী জানালেন ভিন্ন কথা। তারা বলেন, ক্রেতারা রমজানের শুরুতে বাজারে কেনাকাটা করার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন। যে কারণে বাজারে হঠাৎ করে বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। বাড়ে দামও।

ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য না কিনলে রমজানের এক সপ্তাহের মধ্যেই সব পণ্যের দামই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। নিত্যপণ্যের দামে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে, এমন অভিযোগ এনে বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, রোজার মাস সংযমের মাস হলেও এ মাসেই যেন বেশি সংযম হারান এ দেশের ব্যবসায়ীরা। তাদের ইচ্ছেমতো বেড়ে যায় নিত্যপণ্যের দাম। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। মূলত রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে, তার সবকিছুর দামেই ইতোমধ্যে আগুন লাগা শুরু হয়ে গেছে। যা কোথায় গিয়ে থামবে, তা কেউই জানে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ