শিরোনাম
বাংলাদেশকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক সেনাবাহিনীর অভিযানে মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসহ আটক হলেন বিএনপি নেতা নিজেরাই প্রশিক্ষণ দিয়ে বিনা খরচে কর্মী নেবে জাপান যুদ্ধে ইসরায়েলের দৈনিক ব্যয় ২০ কোটি ডলার, অর্থনৈতিক চাপে নেতানিয়াহু দেবীগঞ্জে আলোচিত বাদশা হত্যা মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার আ. লীগকে নিষিদ্ধ করিনি, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সিদ্ধান্ত ইসির: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা হিলি স্থলবন্দরের পানামাপোর্টের শ্রমিকদের কর্ম বিরতি পালন হিলিতে বাংলাহিলি ড্রিমল্যান্ড স্কুলে ফল উৎসব অনুষ্ঠিত  তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন পরমাণু প্রযুক্তিতে ইরানকে সহায়তায় প্রস্তুত রাশিয়া : পুতিন
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন

রোজা শুরুর আগেই বাজারে আগুন, সংকট ভোজ্য তেলেও

ডেস্ক নিউজ / ৪৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫

আজ চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল থেকে দেশে পবিত্র মাহে রমজান শুরু। এই মাসকে কেন্দ্র করে এরইমধ্যে চলছে প্রস্তুতি। তারই অংশ হিসেবে চলছে মানুষের শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। তবে অভিযোগ সেই পুরনো, দামে ‘আগুন ভাব’। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভোজ্য তেলের সংকট।

শনিবার (১ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় দুই মাস ধরে সরবরাহ সংকটে থাকা সয়াবিন তেলের বাজার এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এর সঙ্গে বেড়েছে গরুর মাংস, মুরগি, শসা, লেবু ও বেগুনের দাম।

এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১২০ টাকায়। যা দেড় সপ্তাহ আগেও ছিল ২০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে।

রোজায় ইফতারির অন্যতম উপকরণ হলো শসা। হাইব্রিড শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও দেশি শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি। এছাড়া প্রতি কেজি বেগুন ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, চাহিদা বাড়ায় দৌঁড়াতে শুরু করেছে মুরগি, গরুর মাংস ও মাছের দাম। বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা থেকে ২১০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা থেকে ৩১০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি।

মাছও কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বাড়তি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। অভিযোগ আছে ধনে পাতা নিয়েও। তবে বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে খেজুর, চিনি, ছোলা, চিড়া, মুড়ি, গুড় প্রভৃতি পণ্যের দাম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, গত অক্টোবর থেকে জানুয়ারি এই চার মাসে চিনি আমদানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩৪ মেট্রিক টন। এই সময়ে ডালজাতীয় পণ্যের আমদানি ৪৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩৭ মেট্রিক টন। আর ছোলা আমদানি হয়েছে ৯৭ হাজার ৫৫৫ মেট্রিক টন। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ শতাংশ বেশি।

উল্লিখিত সময়ে সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ বেড়ে মটর ডালের আমদানি হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৮৪৫ মেট্রিক টন। এ ছাড়া পেঁয়াজ আমদানি ২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ মেট্রিক টন। রসুনের আমদানিও বেড়েছে ২০ শতাংশ। গত অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত পণ্যটি আমদানি হয়েছে ৬১ হাজার ৩৮১ মেট্রিক টন।

এর বাইরে আদার আমদানি ৫৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫২ হাজার ৫১৫ মেট্রিক টন। ফলে কোনো পণ্যেরই সংকট নেই। দামও রয়েছে স্থিতিশীল।

ভোজ্য তেলের সংকট কেন জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা জানান, কোম্পানির ডিলাররা পর্যাপ্ত তেল সরবরাহ করছে না। শুধু তা-ই নয়, বোতলজাত সয়াবিনের সঙ্গে নানা পণ্য নেওয়ার শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন। এ কারণেই এই অবস্থা।

লেবুর মূল্যবৃদ্ধির কারণ নিয়েও কথা হয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। তারা বলেন, এখন লেবুর মৌসুম নয়। তাই দাম বাড়তি থাকা স্বাভাবিক। তবে যতটা বেড়েছে, তা স্বাভাবিক নয়।

তবে কিছু ব্যবসায়ী জানালেন ভিন্ন কথা। তারা বলেন, ক্রেতারা রমজানের শুরুতে বাজারে কেনাকাটা করার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন। যে কারণে বাজারে হঠাৎ করে বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। বাড়ে দামও।

ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য না কিনলে রমজানের এক সপ্তাহের মধ্যেই সব পণ্যের দামই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। নিত্যপণ্যের দামে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে, এমন অভিযোগ এনে বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, রোজার মাস সংযমের মাস হলেও এ মাসেই যেন বেশি সংযম হারান এ দেশের ব্যবসায়ীরা। তাদের ইচ্ছেমতো বেড়ে যায় নিত্যপণ্যের দাম। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। মূলত রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে, তার সবকিছুর দামেই ইতোমধ্যে আগুন লাগা শুরু হয়ে গেছে। যা কোথায় গিয়ে থামবে, তা কেউই জানে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ